ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিতে বড় সংগ্রহের পথে শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশ। ৫ উইকেট পড়ে গেলেও বেশ ভালো সংগ্রহ এরই মধ্যে তুলে ফেলেছে তারা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৪০ ওভার শেষ শ্রীলঙ্কা সভাপতি একাদশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৬৯। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান ও সানজামুল ইসলাম। ৬৪ রান করে ‘অবসর-আউট’ হয়েছেন কুশল পেরেরা।
সকালে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবে টসে জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং-তোপে পড়ে বাংলাদেশের বোলাররা। সানদুন বীরাক্কোদি ও কুশল পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে তারা।
বীরাক্কোদি ৫৩ বল খেলে ৬৭ রান করে আউট হয়েছেন সাইফউদ্দিনের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। তাঁর ইনিংসে আছে ৮ চার ও ২ ছয়ের মার।
বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পেয়েছিল ওপেনার দিলশান মুনাবীরাকে ফিরিয়ে। তিনি ২১ বলে ২৪ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লু হন। শ্রীলঙ্কা একাদশের রান তখন ৩৬। দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় মাঠ থেক উঠে যান পেরেরা। ২০২ রানের মাথায় লঙ্কান একাদশের অধিনায়ক মিলিন্দা সিরিবর্ধনেকে নুরুল হাসানের ক্যাচে ফেরান সানজামুল ইসলাম। চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে বোল্ড করেন আবুল।
বাংলাদেশের হয়ে বোলিং শুরু করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দিয়েছেন ৪ ওভারে ২১ রান। মাশরাফি-তাসকিন ছাড়াও বল করেছেন শুভাগত হোম, রুবেল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবুল হাসান, সানজামুল ইসলাম। রুবেল প্রথম ২ ওভারে ২২ রান দিলেও পরে সামলে উঠে ৫ ওভারে দিয়েছেন ৩৮। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়েছেন তাসকিন। শুভাগত ৮ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। সানজামুল ৬ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রানে এক উইকেট নিয়ে সমীহটা ভালোই আদায় করে নিয়েছেন।
ম্যাচটি ৫০ ওভারের হলেও দুই দলই স্কোয়াডের ১৭ খেলোয়াড়কেই ব্যবহার করতে পারবে