বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশবিরোধী বহু ‘গোপন এজেন্ডা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জঙ্গিবাদকে সামনে আনা হয়েছে। মানুষ যাতে জঙ্গিবাদী তৎপরতার আলোচনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, আর এই ফাঁকে অশুভ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা যায়।
আজ রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিজভী এই অভিযোগ করেন। তিনি জঙ্গিবাদ দমনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, জঙ্গিদের রক্তাক্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার নানা তত্ত্ব কথা শুনিয়ে এসেছে। ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দায় চাপিয়ে দেন অন্যের ঘাড়ে। উগ্রবাদীদের নিত্যকার সহিংস ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের উগ্রবাদীদের নির্মূল করার বিষয়ে নানা তর্জন-গর্জন দেশবাসী শুনেছে। কিন্তু নির্মূল তো দূরে থাক, সম্প্রতি গত কয়েক দিনে উগ্রবাদীদের সহিংস ঘটনায় মনে হচ্ছে, এদের নেটওয়ার্ক আরও বেশি বিস্তৃত হয়েছে। সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চুক্তির বিরোধিতা করে রিজভী বলেন, ‘পৃথিবীতে শক্তিশালী ও অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দেশের মধ্যে সামরিক চুক্তি হলে সব সুবিধা শক্তিশালী দেশই পেয়ে থাকে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রস্তাবিত সামরিক চুক্তিতে এর থেকে কোনো ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী সরকার সব সময় ভারতকে খুশি করতে সদা তৎপর থেকেছে। কিন্তু ভারত অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে একচেটিয়া সুবিধা হাতিয়ে নিলেও বাংলাদেশ পায় লবডঙ্কা।’
রিজভী বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি দেশের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না। শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হবে বিপন্ন এবং সার্বভৌমত্ব দুর্বল হবে।