আজ শনিবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে অনেক। আগামী নির্বাচনই আমার শেষ নির্বাচন। এ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩২টি আসন পেলে আমরা ক্ষমতার মসনদে চলে যাব। এটাই শেষ সুযোগ। আমাদের সরকার গঠন করতেই হবে।’
এরশাদ বলেন, ‘১৯৯০ সালে আমি ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর আমাকে কারাগারে পাঠানো হলো। আমার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হলো। এরপর ’৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা পেলাম ৩৩টি আসন। আর জামায়াত পেল তিনটি। আমি তখন কারাগারে। বিএনপি আমার কাছে দূত পাঠাল। আমাকে বলা হলো সরকার গঠনে আমি যদি সমর্থন দিই তাহলে যা চাইব বিএনপি তাই দেবে। আমি সমর্থন দিইনি। এ কারণে আমার প্রতি অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। অত্যাচার করা হয়েছে। আমার স্ত্রী-সন্তানরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ’৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সমর্থন নিয়ে ২১ বছর পর ক্ষমতার মসনদে বসল আওয়ামী লীগ। কিন্তু কী পেলাম। আমার দলকে ভাগ করা হলো। আমার এমপিদের কিনে নেওয়া হলো। আমার ওপর অত্যাচার করা হলো। কিছুই পেলাম না।’
এরশাদ বলেন, ‘আমার লজ্জা ছিল, দুঃখ ছিল রংপুরে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন করতে পারিনি। অথচ আমি দেশের ৪২টি জেলার সম্মেলন করেছি। আজ মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সে লজ্জা ও দুঃখ দূর হলো।’
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে এরশাদ মহানগর জাতীয় পার্টির নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এস এম ইয়াসিরের নাম ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এরশাদ রংপুর সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নামও ঘোষণা করেন।
মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সাংসদ শাহানারা বেগম, প্রেসিডিয়াম সদস্য চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল রানা, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর, ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইয়াসির, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব ও সাবেক সাংসদ হোসেন মকবুল শাহরিয়ার প্রমুখ।