গোয়া সৈকতে বিদেশী যুবতীর নগ্ন লাশ

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাবিশ্ব

index

 

 

 

 

 

ভারতের গোয়া সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ দিকে এক আইরিশ যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনি ছিলেন পুরো নগ্ন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে নিহত স্কারলট কিলিং ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবারের ঘটনা। ওই বছরে বৃটিশ যুবতী স্কারলেটকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়। এবার মঙ্গলবার সকালে গোয়ার কানাকোনায় দেবাবাগের আদনেম স্পটে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশী এক নারীর মৃতদেহ। তবে কিভাবে তিনি মারা গেছেন এ বিষয়টি রহস্যে ঘেরা। কানাকোনা পুলিশ নিহত ওই নারীকে সনাক্ত করে বলেছে তার নাম ডানিয়েল ম্যাকলুগিম। তার বয়স ২৮ বছর। তিনি আয়ারল্যান্ডের নাগরিক। এ বিষয়ে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছিলেন এসপি সামি তাভারেজ। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে বামবোলিমে অবস্থিগ গোয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা হবে ওই যুবতীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা। পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় প্রশান্ত কোরামপান্ত নামে এক ব্যক্তি প্রথম ওই মৃতদেহটি দেখতে পান। ওই সময় তিনি কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাঁচা সড়ক থেকে ৩০০ মিটার দূরে আরেকটি ক্ষেতের ভিতর দেহটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। কানাকোনার পুলিশ ইন্সপেক্টর ফিলোমেনো কস্তা বলেছেন, মৃতদেহের অবস্থা দেখে, তার মুখে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা ধরে নিয়েছি এটা একটি হত্যাকা-। নিহত যুবতী থাকতেন আরামবোলে। সোমবার তিনি পোলেলেম সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওইদিন রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। রহস্য উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে একটি ¯œাইপার ডগ স্কোয়াড, করা হচ্ছে ফরেনসিক পরীক্ষা, যোগ দিয়েছেন আঙ্গুলের ছাপ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে বিয়ারের কয়েকটি খালি ক্যান, চিপসের প্যাকেট ও বোতল। তবে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বের করতে পারে নি। নিহত যুবতীর পোশাকও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তারা সর্বশেষ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছিল। তারা বলেছে, সব দিক থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ওদিকে অনির্ভরশীল রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোমবার শেষ রাতের দিকে পাতনেম সৈকতের কাছে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা গেছে নিহত যুবতীকে। পুলিশ বলছে, তারা এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে। পর্যালোচনা করছে সিসিটিভি ফুটেজ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সন্দেহজনকভাবে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এখন নিহতের পাসপোর্ট ও অন্য সামগ্রি খুঁজছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *