এ যেন এক অন্য স্বাধীনতার লড়াই! আর সে লড়াইয়ে হেরে একান্তই যদি মরতে হয়, তবে তা হবে রানির মতো। এবং সেটা নিজের বাড়িতেই। সদর্পে ঘোষণা বেগমজানের। কারণ সেটা শুধু তাঁর বাড়ি নয়, নিজের দেশও বটে। আর সে দেশের স্বাধীনতার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিতেও পিছপা নন বেগমজান। এ সবই জানা গেল ‘বেগমজান’-এর ছবির ট্রেলারে। আর তাতে রীতিমতো চমকে দিলেন বিদ্যা বালন।
সরকারের চোখে যা যৌনকর্মীর বাড়ি বেগমজান তাকে বলেন, নিজের বাড়ি। আর সেখানকার সর্বেসর্বা ‘ম্যাডাম’ বেগমজানের বাড়ি ঘিরেই শুরু হয়েছে সমস্যা। দেশভাগের পর ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তরেখার মাঝে পড়ে যায় তা। ফলে এক মাসের মধ্যে ওই বাড়ি খালি করার নোটিস পড়ে। কিন্তু, নিজের বাড়ি, নিজের দেশ ছেড়ে যেতে নারাজ ‘ম্যাডাম’। সরকারি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের এক টুকরো জমির বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন তিনি।
ফিল্মের পোস্টারেই সম্পূর্ণ আলাদা লুকে এসেছিলেন বিদ্যা বালন। এ বার তিন মিনিটের ট্রেলারেও দেখা গেল সেই বেপরোয়া বিদ্যাকে। ফিল্মের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছিলেন, আর সকলের মতো তিনিও বেগমজানের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন। ফিল্মের সেটে বিদ্যাকে নয়, রোজ দেখা মিলত বেগমজানের। ট্রেলারে সৃজিতের কথাকেই যেন খাঁটি প্রমাণ করেছেন বিদ্যা। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে গলার স্বর— সবেতেই অন্য রকম তিনি। বিদ্যা নিজেও স্বীকার করেছেন, এ ধরনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলাটা বেশ কঠিন ছিল। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র শারীরিক বা যৌন হিংসাই নয়, এ ফিল্ম জুড়ে রয়েছে মানসিক দমন-পীড়নের হিংসা, তার কাহিনিও। আর এ ধরনের কাজ আমি এই প্রথম করছি।”
বিদ্যা ছাড়াও ফিল্মের ট্রেলারে রয়েছে আরও চমক। বহু দিন পর ফিল্মের পর্দায় দেখা মিলল চাঙ্কি পাণ্ডের। এ ফিল্মে তাঁকে যেন চেনাই যাচ্ছে না। সঙ্গে নাসিরুদ্দিন শাহ, আশিস বিদ্যার্থী, ইলা অরুণ, পল্লবী সারদা, গহর খান ও রজিত কপূরেরা। আগামী ১৪ এপ্রিল বড়পর্দায় আসছেন ‘বেগমজান’।