ঢাকা; ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলে সফর শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা। দলের এ নির্বাচনী প্রচারণায় আছেন সভানেত্রী শেখ হাসিনাও। ইতিমধ্যে তার কয়েকটি জেলায় জনসভার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। বিভিন্ন জেলা সফরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এসব সমাবেশ থেকে তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক দিকনির্দেশনা দেবেন। আগামী দেড় মাসে দেশের ছয় জেলায় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। এর মধ্যে আজ ১৪ই মার্চ লক্ষ্মীপুর, ২১শে মার্চ মাগুরা, ২৮শে মার্চ ফরিদপুর, ১৫ই এপ্রিল ঠাকুরগাঁও, ২৩শে এপ্রিল বরগুনা, ২৯শে এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় জনসভা করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এর বাইরে আরো অন্তত দুটি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিগগিরই ওইসব জেলার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। জনসভায় শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নৌকা
মার্কায় ভোট চাইবেন জনগণের কাছে। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির পূর্ব শর্ত হচ্ছে নির্বাচনী জনসভা ও গণসংযোগ। আওয়ামী লীগ সেই কাজ শুরু করেছে। একইসঙ্গে ক্ষমতায় থাকা ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা কিছুটা কঠিন। তাই হাতে অন্তত ২ বছর সময় নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হলো। নেতারা জানান, নির্বাচনী জনসভাগুলোতে সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অতীত কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। এ প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রস্তুতির পূর্ব শর্ত হিসেবেই জনসভা, নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে দলের পক্ষ থেকে বিগত ৮ বছরের উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য, অর্থনৈতিক সূচকের অগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়ন তুলে ধরা হবে। এছাড়া দেশের শিল্পায়নে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে দলের পরিকল্পনা ও বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। মূলত নির্বাচনী জনসভার মূল এজেন্ডা ভোটারদের আমাদের পক্ষে আনা, তাদের আকৃষ্ট করা। আবদুর রহমান বলেন, জনসভাগুলোতে বিএনপির নেতিবাচক রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে জঙ্গির সঙ্গী হওয়া, এদেশের পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা, জামায়াত বা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তাদের সখ্যের বিষয়গুলো জনসভার বক্তৃতায় প্রাধান্য দেয়া হবে। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতির পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বিভিন্ন জেলায় জনসভা ও গণসংযোগে অংশ নেবে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এদিকে ২ বছর আগে থেকেই নির্বাচনের প্রচারণাকে খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, এটা দলের দূরদর্শিতার প্রমাণ। ক্ষমতার চেয়ারে গা এলিয়ে বসে না থেকে জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছে দলটি। সরাসরি জনগণের খোঁজখবর নেয়ার কৌশল নেয়ায় আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করছেন। এদিকে নির্বাচনী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এরইমধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কোন্দল মেটানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এমপিদের। তাদের বলা হয়েছে, নিজ দায়িত্বে সব ধরনের কোন্দল মেটাতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্রের সহযোগিতা লাগলে তাও দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এরইমধ্যে দলীয় সব এমপিকে এ বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দলের একাদিক এমপি’র সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যেসব এলাকায় নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেসব এলাকায় বারবার কড়া বার্তা দিচ্ছে হাইকমান্ড। তারা বলেন, অনেক এমপিকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে কোন্দলমুক্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাই যারা নিজ নির্বাচনী এলাকায় কোন্দল বজায় রেখে মনোনয়ন নিতে চান তারা এবার ভুল করবেন। হাইকমান্ডকে খুশি করতে হলে নির্বাচনী এলাকা কোন্দলমুক্ত রাখতে হবে। এদিকে দলের এ নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন এমপিরা। তারা বলেন, এককভাবে জয়লাভ করার চেয়ে দলকে নির্বাচনে জয়লাভ করানোটাই মূল কাজ। তাই নিজেরা কোন্দল মেটাতে পারলে নির্বাচনের বৈতরণী খুব সহজেই পার হওয়া সম্ভব। এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ নির্দেশনার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে জেলা সফর শুরু করেছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকির জন্য আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।
মার্কায় ভোট চাইবেন জনগণের কাছে। দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির পূর্ব শর্ত হচ্ছে নির্বাচনী জনসভা ও গণসংযোগ। আওয়ামী লীগ সেই কাজ শুরু করেছে। একইসঙ্গে ক্ষমতায় থাকা ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা কিছুটা কঠিন। তাই হাতে অন্তত ২ বছর সময় নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হলো। নেতারা জানান, নির্বাচনী জনসভাগুলোতে সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অতীত কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। এ প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রস্তুতির পূর্ব শর্ত হিসেবেই জনসভা, নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে দলের পক্ষ থেকে বিগত ৮ বছরের উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য, অর্থনৈতিক সূচকের অগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়ন তুলে ধরা হবে। এছাড়া দেশের শিল্পায়নে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে দলের পরিকল্পনা ও বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। মূলত নির্বাচনী জনসভার মূল এজেন্ডা ভোটারদের আমাদের পক্ষে আনা, তাদের আকৃষ্ট করা। আবদুর রহমান বলেন, জনসভাগুলোতে বিএনপির নেতিবাচক রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে জঙ্গির সঙ্গী হওয়া, এদেশের পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা, জামায়াত বা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তাদের সখ্যের বিষয়গুলো জনসভার বক্তৃতায় প্রাধান্য দেয়া হবে। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতির পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বিভিন্ন জেলায় জনসভা ও গণসংযোগে অংশ নেবে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এদিকে ২ বছর আগে থেকেই নির্বাচনের প্রচারণাকে খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, এটা দলের দূরদর্শিতার প্রমাণ। ক্ষমতার চেয়ারে গা এলিয়ে বসে না থেকে জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছে দলটি। সরাসরি জনগণের খোঁজখবর নেয়ার কৌশল নেয়ায় আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করছেন। এদিকে নির্বাচনী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এরইমধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কোন্দল মেটানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এমপিদের। তাদের বলা হয়েছে, নিজ দায়িত্বে সব ধরনের কোন্দল মেটাতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্রের সহযোগিতা লাগলে তাও দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এরইমধ্যে দলীয় সব এমপিকে এ বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দলের একাদিক এমপি’র সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যেসব এলাকায় নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেসব এলাকায় বারবার কড়া বার্তা দিচ্ছে হাইকমান্ড। তারা বলেন, অনেক এমপিকে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে কোন্দলমুক্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাই যারা নিজ নির্বাচনী এলাকায় কোন্দল বজায় রেখে মনোনয়ন নিতে চান তারা এবার ভুল করবেন। হাইকমান্ডকে খুশি করতে হলে নির্বাচনী এলাকা কোন্দলমুক্ত রাখতে হবে। এদিকে দলের এ নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন এমপিরা। তারা বলেন, এককভাবে জয়লাভ করার চেয়ে দলকে নির্বাচনে জয়লাভ করানোটাই মূল কাজ। তাই নিজেরা কোন্দল মেটাতে পারলে নির্বাচনের বৈতরণী খুব সহজেই পার হওয়া সম্ভব। এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ নির্দেশনার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে জেলা সফর শুরু করেছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকির জন্য আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।