ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ক লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ মঙ্গলবার সক্রিয় করবেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এ বিষয়ে সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। তার এ প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। এর আগে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ক বিল তৈরি করা হয়। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ইইউ নোটিফিকেশন অব উইথড্রয়াল বিল’। লেবার দলের সিনিয়র এক সূত্র বলেছেন, এ বিষটি সোমবার মধ্যরাত নাগাদ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ অনুমোদন দিতে পারে। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের পথ পরিষ্কার হয়ে যাচে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও স্কাই নিউজ। এতে বলা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত ওই বিলটি নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্যরা সোমবার বিতর্ক করবেন। সম্প্রতি হাউজ অব লর্ডস এতে যে দুটি সংশোধনী যুক্ত করেছে তা গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এরপর এ সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামিট বা সম্মেলন নিয়ে হাউজ অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী বর্ণনা করবেন মঙ্গলবারে। সেখানেই তিনি অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে পারেন। হাউজ অব লর্ডস যে সংশোধনী এনেছে তার ফলে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট ইস্যু এমপিদের অর্থপূর্ণ ভোটে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্য সংশোধনীতে বৃটেন ইইউ বিচ্ছেদের সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চত করতে বলা হয়েছে সরকারকে। উল্লেখ্য, অনেক আগেই মার্চের শেষ নাগাদ অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার অঙ্গীকার করেছেন তেরেসা মে। মিডিয়ায় মঙ্গলবারের কথা বলা হলেও ওয়েস্ট মিনস্টারের সূত্রগুলো বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার বা বুধবার অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা হতে পারে। কিন্তু হাউজ অব কমন্সে যদি বেক্সিট বিল মসৃণভাবে পাস না হয় তাহলে নেদারল্যান্ডসে আসন্ন নির্বাচনের করণে প্রধানমন্ত্রীকে মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, লেবার দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিলে আনা দুটি সংশোধনী পাস করার জন্য সরাসরি আহ্বান জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে লেবার দল বলেছে, হাউজ অব লর্ডস যে দুটি সংশোধনী এনেছে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তার ওপর পার্লামেন্টের অর্থপূর্ণ অনুমোদন নিতে।