শনিবার রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, ‘‘কেন্দ্রের অনেক আগে থেকেই আমরা ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার দিকে পা বাড়িয়েছি।’’ এ দিন কলকাতায় সিআইআই, পূর্বাঞ্চল আয়োজিত ‘বিল্ডিং ইস্ট, ড্রাইভিং কম্পিটিটিভনেস’ শীর্ষক সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে অমিতবাবু বলেন, ‘‘আগে পাওনা-গণ্ডা মেটাতে ২২ লক্ষ চেক ইস্যু করা হত। এখন টাকা অনলাইনে মেটানো হয়। নগদ ও চেক, দুই মাধ্যমে লেনদেনই কমাচ্ছে রাজ্য।’’
সম্প্রতি মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ও ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা গড়ার উপর জোর দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এ দিন পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থমন্ত্রীর দাবি, নগদহীন লেনদেনে আগে থেকেই জোর দিচ্ছে রাজ্য। অর্থমন্ত্রীর দাবি, ডিজিটাল মাধ্যমে এই মুহূর্তে ৪৪ হাজার কোটি টাকা মেটানো হচ্ছে রাজ্যে। ৭ লক্ষ পেনশন প্রাপক এবং ৮.৫ লক্ষ সরকারি কর্মীর প্রাপ্য এই ব্যবস্থাতেই মেটানো হচ্ছে।
শিল্পায়ন নিয়ে অমিতবাবু বলেন, ২০১৫-র অগস্ট থেকে ২০১৬-র ডিসেম্বর পর্যন্ত ছোট-মাঝারি শিল্পের ৭ হাজারটি আবেদনে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। ৩১ হাজার কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হওয়ার পথে।
নয়া পূর্বাঞ্চলীয় কর্মকর্তা: উমেশ চৌধুরী ২০১৭-’১৮ সালের জন্য সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি টিটাগড় ওয়াগন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ডেপুটি চেয়ারপার্সন হয়েছেন জাগি মঙ্গত পাণ্ডা। তিনি অর্টেল কমিউনিকেশন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।সূত্র:আনন্দবাজার পত্রিকা