উজিল্যান্ড, ভারত সফরের পর শ্রীলঙ্কায় একই প্রশ্ন—বাংলাদেশ কি পারত না গল টেস্টটা ড্র করতে? তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের দারুণ ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিন শেষ করা বাংলাদেশের পক্ষে মোটেও অসম্ভব ছিল না ম্যাচটা ড্র করা। তবুও পারেননি মুশফিকরা। কখনো ভালো বল, কখনো বা আত্মাহুতি—১৯৭ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। লেখা হলো আরও একটি পরাজয়ের গল্প।
জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন-ক্রাইস্টচার্চ, গত মাসে হায়দরাবাদ কিংবা এই গল টেস্ট—বাংলাদেশ প্রতিটিতেই সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি সঠিক সময়ে। কেন পারছে না, সমস্যাটা অবশ্য ধরতে পারছেন মুশফিকুর রহিম, ‘প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং খারাপ করেও কিন্তু আমরা ৩০০ করেছি। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের খুব তাড়াতাড়ি উতরে যেতে হবে। সর্বশেষ দুটি সিরিজে সুযোগ ছিল অন্তত ম্যাচ ড্র করা। আজও (গতকাল) তা-ই, শেষ দিনে ৯৮ ওভার ব্যাটিং করতে হতো, হাতে ১০ উইকেট। সুযোগগুলো কাজে লাগানোর স্কিল বা মানসিকতা আছে। কিন্তু সঠিক সময়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারছি না।’
মুশফিক যে সামর্থ্য প্রমাণের কথা বলছেন, সেটি তিনি নিজেও দিতে পারেননি দ্বিতীয় ইনিংসে। লক্ষ্মণ সান্দাকানের লেগ স্টাম্পের বাইরের খেলতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান যেভাবে আউট হয়েছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে সেটির যেন ‘অ্যাকশন রিপ্লে’ করলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু কেন ওভাবে খেলতে গেলেন মুশফিক?
তাঁর যুক্তি, ‘স্টাম্পের ভালো বলে শট খেলা কঠিন। মিস করলে আউটের সম্ভাবনা থাকে। মনে করি শট খেলতে হবে স্টাম্পের বাইরের বলই। প্রথম ইনিংসে সাকিবের আউটটা দুর্ভাগ্যজনক। আর আমারটা বলব, লেগ স্লিপ-শর্ট ফাইন লেগ নই, ওই বলটা যদি না মারি তবে কোনটা মারব? শটটা ঠিকভাবে খেলতে পারিনি, সেটা বলতে পারেন। যেটা সাকিবও পারেনি। ব্যাটের যে জায়গায় চেয়েছিলাম লাগাতে, সেটা লাগেনি। চেষ্টা করব সামনে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে।’