ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে উত্তেজনাকর লড়াই এল ক্লাসিকো। স্পেনের দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যকার লড়াই নিয়ে বরাবরই দর্শকদের মধ্যে থাকে আলাদা আবেগ ও উত্তেজনা। মজার কথা হলো, এই দু’টি দল নিজ দেশ স্পেনেই বারবার মুখোমুখি হয়েছে। ইতিহাসে এর আগে মাত্র একবার স্পেনের বাইরে মুখোমুখি হয়েছে তারা। সেটা ছিল ১৯৮২ সালে। সেবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় মুখোমুখি হয়। কোপা প্রেসিডেন্ট দে লা রিপাবলিকা টুর্নামেন্টের তৃতীয় প্লে অফে লড়াই করে তারা। সেবার বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। স্পেনের সাবেক কোচ ভিসেন্ত দেল বস্ক তখন খেলতেন রিয়ালে। দলটির হয়ে একমাত্র গোল করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ওই ম্যাচের পর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু স্পেনের বাইরে একবারও মুখোমুখি হয়নি তারা। তবে এবার সেই সুযোগ এসেছে। স্পেনের বাইরে ৩৫ বছর পর এবার তারা মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে। লা-লিগার চলতি মৌসুম শেষ হবে মে মাসে। নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে ক্লাবগুলো বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে। ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপ নামে একটি টুর্নামেন্ট প্রতি মৌসুমের আগে হয়। গতবার এই টুর্নামেন্টে খেলে বার্সেলোনা, চেলসি, লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান, লেস্টার সিটি ও সেল্টিকের মতো ক্লাব। আয়োজকরা সামনের আসরের জন্যও দল নির্ধারণ করছে। সবগুলো ক্লাব ও ম্যাচের ভেন্যুর বিষয়টি তারা ২১ মার্চ নিশ্চিত করবে। তবে তার আগে এবারের আসরে স্পেনের দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চত করেছে তারা। এমন কি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এল ক্লাসিকোতে ২৯ জুলাই মুখোমুখি হবে বলেও নিশ্চিত করেছে আয়োজকরা। মিয়ামির ডলফিন্স স্টেডিয়ামে লড়াইয়ে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রতিষ্ঠাতা স্টিফেন রোজ বলেন, ‘তারা (রিয়াল-বার্সা) মিয়ামিতে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে। তবে তাদের মুখোমুখির ম্যাচ বন্ধুত্বপূর্ণ হয় না। এটা একটা যুদ্ধ। কেউ হারতে চায় না।’ অন্যদিকে রিয়ালের ভাইস প্রেসিডেন্ট এমিলিয়ানো মিয়ামিতে আসন্ন এল ক্লাসিকোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘মিয়ামির মানুষ ফুটবল নিয়ে কত আবেগি সেটা আমরা ভালমতো জানি। তারা এবার বড় একটি সুযোগ পাচ্ছে।