শ্রীপুর পৌর শহরের প্রধান সড়ক যেন বর্ষার পানিতে থৈ থৈ!

Slider গ্রাম বাংলা

সড়ক ২

 

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরশহরের বেশ কয়েকটি সড়কে ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে হাটু পানি ঝমে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পৌরবাসির। যান চলাচলে নেমে আসে স্থবিরতা।

শুক্রবার সন্ধা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থেমে থেমে শনিবার সকাল না গড়াতেই পৌর শহরের প্রধান সড়কে যেন বর্ষার পানিতে থৈ থৈ করছে। পৌরসভার সবচেয়ে ব্যস্তমত এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তায় হাটু পানি ঝমে যায়। রাস্তা গুলো মাওনা থেকে ফুলাবাড়িয়া সড়ক, শ্রীপুর সড়ক, সিএন্ডবি বাজার থেকে চন্নাপাড়া সড়ক, আসপাডা মোড় থেকে শ্রীপুর সড়ক।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি সংযোগ সড়কে হাটু পানি ঝমে আছে। এতে যানচলাচলে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। লম্বা সাড়িতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শতশত যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এ যেন এক চির চেনা ভোগান্তি। যা কোন দিন শেষ হবার নই। প্রতি বছর বর্ষা মৌসমে এমন চিত্র প্রতিদিনকার। আর বর্ষা না আসতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসি। এ সমস্যা সমাধানে পৌরসভার তেমন তৎপরতা দেখা পাওয়া যায় না। এক প্রকার চোখ থাকতেও অন্ধ বলা বলা যায়। প্রতিনিয়ত এমন জলাবদ্ধতা ঠেলে রাস্তা দিয়ে পৌরবাসির চলাচল করতে হয়।
মাওনা চৌরাস্তার একটি প্রাইভেট স্কুলে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে মা সালমা বেগম প্রতিদিন এই জলাবদ্ধতাময় রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করেন। তিনি বলেন, অনেক সময় কাঁদাপানি ছিঁটকে এসে কাপড়ে পড়ে। ওই দিন আর বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া হয় না।
স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষিকা জানান, রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচলের সময় জামা কাপড়ে কাঁদাপানি ছিঁটকে আসায় আজ আমি মাদ্রাসায় যেতে পারি নাই।

ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, আমার একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান মাওনা চৌরাস্তার ফুলবাড়িয়া সড়কে পাশেই । যানবাহন চলাচলের সময় কাঁদাপানি ছিঁটকে দোকানের মালামাল পড়ে। এতে অনেক ইলেকট্রনিক্সের পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মো. হেলাল মিয়া বলেন, রাস্তার মাঝে পানি ঢুকে সিএনজি বন্ধ হয়ে যায়। তখন যাত্রীদের কাঁদাপানিতে নামিয়ে সিএনজি ঠেলে মেকানিকের দোকানে নিয়ে যেতে হয়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা দূর করতে ড্রেনের প্রকল্পবাস্তবায়ন চলেচ্ছে। আশা করি বেশি দিন এ দূর্ভোগ পৌরবাসির পোহাতে হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *