বিশ্বজমিন; জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বিবিসির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন। তবে মিয়ানমারে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দলের এক মুখপাত্র বলেছেন, এসব অভিযোগ বাড়িয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তার দাবি এ ইস্যুটি আন্তর্জাতিক ইস্যু নয়, বরং অভ্যন্তরীণ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সংঘাত কবলিত এলাকায় স্বাধীনভাবে তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়নি ইয়াংহি লিকে। তবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে আলাপ শেষে তিনি বলেন, তিনি যতটা আশঙ্কা করেছিলেন তার চেয়েও পরিস্থিতি অনেক খারাপ। তার ভাষ্য, ‘আমি বলবো মানবতাবিরোধী অপরাধ। সুনির্দিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বার্মিজ মিয়ানমার সামরিক বাহিনী, সীমান্তরক্ষী, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।’
তার মন্তব্য, এই পদ্ধতিগত নির্যাতনের কিছু দায় অং সান সু চির সরকারকেও নিতে হবে। তার ভাষ্য, ‘দিনের শেষে সরকারকেই উত্তর দিতে হবে। নিজ জনগণের বিরুদ্ধে এই ভয়াল নির্যাতন ও খুবই অমানবিক অপরাধের বিপুল ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।’
গত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে রাখাইন প্রদেশের কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে হামলার পর সামরিক বাহিনী দমনপীড়ন শুরু করে। বিবিসির সাংবাদিক বলছেন, বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মুখ থেকে অনেক অভিযোগ শুনেছেন। অনেকে বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক মানুষের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। শরণার্থীদের অনেক বক্তব্যের সঙ্গে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও লুকিয়ে ধারণ করা ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে।
সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। এমনকি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে তিনি কোন সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। অবশ্য সু চির রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র উইন তেইন বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে সু চির পক্ষে সেনাবাহিনীকে থামানোর ক্ষমতা ছিল না। তবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেমানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের যে অভিযোগ করেছেন ইয়াংহি লি, তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এসব বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। তার ভাষ্য, ‘নতুন সরকার হিসেবে আমরা একটি আধুনিক দেশ গড়তে চাই। আমাদের হাজারো সমস্যা আছে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়, আন্তর্জাতিক ইস্যু নয়।’
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর প্রধানের দায়িত্বে আছেন সাবেক এক জেনারেল! জাতিসংঘ দূত ইয়াংহি লি এই কমিটিতে সামরিক বাহিনীর আধিপত্য ও এর তদন্তপদ্ধতির কড়া সমালোচনা করেন।
সোমবার লি তার অনুসন্ধানের ফলাফল জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানাবেন। এ ধরণের কমিশন উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়ায় সংঘটিত অপরাধ তদন্তে গঠিত হয়েছিল। তবে এ কমিশনের প্রতি সমর্থন থাকবে কিনা, তা জানাতে রাজি নয় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি খসড়া প্রস্তাবনায় অবশ্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকে চিন্তিত যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কড়া কোন পদক্ষেপ নিলে তা মিয়ানমারের অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তার মন্তব্য, এই পদ্ধতিগত নির্যাতনের কিছু দায় অং সান সু চির সরকারকেও নিতে হবে। তার ভাষ্য, ‘দিনের শেষে সরকারকেই উত্তর দিতে হবে। নিজ জনগণের বিরুদ্ধে এই ভয়াল নির্যাতন ও খুবই অমানবিক অপরাধের বিপুল ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।’
গত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে রাখাইন প্রদেশের কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে হামলার পর সামরিক বাহিনী দমনপীড়ন শুরু করে। বিবিসির সাংবাদিক বলছেন, বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মুখ থেকে অনেক অভিযোগ শুনেছেন। অনেকে বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক মানুষের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। শরণার্থীদের অনেক বক্তব্যের সঙ্গে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও লুকিয়ে ধারণ করা ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে।
সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। এমনকি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে তিনি কোন সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। অবশ্য সু চির রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র উইন তেইন বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে সু চির পক্ষে সেনাবাহিনীকে থামানোর ক্ষমতা ছিল না। তবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেমানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের যে অভিযোগ করেছেন ইয়াংহি লি, তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এসব বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। তার ভাষ্য, ‘নতুন সরকার হিসেবে আমরা একটি আধুনিক দেশ গড়তে চাই। আমাদের হাজারো সমস্যা আছে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়, আন্তর্জাতিক ইস্যু নয়।’
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর প্রধানের দায়িত্বে আছেন সাবেক এক জেনারেল! জাতিসংঘ দূত ইয়াংহি লি এই কমিটিতে সামরিক বাহিনীর আধিপত্য ও এর তদন্তপদ্ধতির কড়া সমালোচনা করেন।
সোমবার লি তার অনুসন্ধানের ফলাফল জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানাবেন। এ ধরণের কমিশন উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়ায় সংঘটিত অপরাধ তদন্তে গঠিত হয়েছিল। তবে এ কমিশনের প্রতি সমর্থন থাকবে কিনা, তা জানাতে রাজি নয় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি খসড়া প্রস্তাবনায় অবশ্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকে চিন্তিত যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কড়া কোন পদক্ষেপ নিলে তা মিয়ানমারের অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।