মানববন্ধনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুদকের কার্যক্রমে সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দুদকের অগ্রিম সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কারণেই এ বছর ঢাকার নামীদামি বিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি–বাণিজ্য হয়নি। অতীতে প্রতিবছরই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কোনোবারই এবারের মতো স্বচ্ছভাবে ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। এবার দুদকের কার্যক্রমের প্রত্যাশিত ফল পাওয়া গেছে।
কর্মসূচিতে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি কোনো একক দেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের মানসিকতার পরিবর্তন সহজ। তাই কমিশন তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজপথে নেমেছে। তিনি বলেন, ক্ষমতা কিংবা অর্থের জোরে কেউ আইন মানবেন না, সে সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই ভেঙে দিয়েছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, কেবল দুর্নীতির কারণেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ২ থেকে ৩ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পাসপোর্ট ও ভূমি সেক্টরে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের মামলায় সাজার হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল। ২০১৬ সালে কমিশনের মামলায় সাজার হার ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি দুর্নীতি দমনে আইনের নিখুঁত প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরের উত্তরা থেকে ফার্মগেট-বাংলামোটর-শাহবাগ-মৎস্য ভবন-কাকরাইল মোড়-বিজয়নগর হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে দুদক কমিশনার নাসির উদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. সালেহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের প্রতিটি জেলায় সততা সংঘের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আড়াই লাখের বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বলে দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।