শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ দুপুরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষক কয়েক মাস ধরে ছাত্রীটিকে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষক ছাত্রীর ভাটি লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাড়িতে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ছাত্রীর পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দিলে ওই শিক্ষক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় আজ দুপুরে ওই ছাত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
শিক্ষককে গ্রেপ্তারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী শ্রীবরদী উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং শ্রীবরদী থানার সামনে অবস্থান করে। পরে পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা থানার সামনে থেকে চলে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্রেপ্তার ওই শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছাত্রীটির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহলের প্ররোচনায় এ ধরনের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন আল রশিদ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক একজন মেধাবী শিক্ষক। তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট করার জন্য ঈর্ষান্বিত হয়ে এ মামলা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এস আলম প্রথম আলোকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর দায়ের করা মামলাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে। বিকেলে গ্রেপ্তারের পর ওই শিক্ষককে শেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।