‘মাসান’ আর ‘সর্বজিৎ’ ছবির সাফল্য তাঁকে নায়িকাদের দৌড়ে এগিয়ে দিয়েছে। নতুন ইন্দো আমেরিকান ছবি শুরুর আগে সাক্ষাৎকারে রিচা চাড্ডা
প্র: ‘ফুকরে’–র সিকুয়েলের জন্য আপনি নাকি অরগ্যানিক ফুড ছাড়া আর কিছু খাননি?
নাসিক থেকে আমার ভারসোভার বাড়িতে নিয়মিত অরগ্যানিক খাবার আসত। তবে ‘ফুকরে’ ছবির সিকুয়েল কিন্তু একদম আলাদা। মজার সব ঘটনা আছে এই ছবিতে। এখন বলব না। দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ।
প্র: ‘লায়ন’ ছবির সানি পাওয়ারের সঙ্গে তো স্ক্রিন শেয়ার করছেন…
এই বছরের গোড়াতে এই অফারটা পেয়ে আমি খুব খুশি। তাবরেজ নুরানির ‘লাভ সোনিয়া’ ছবিতে সানি আর আমার ‘ফানি সিকোয়েন্স’ আছে। ছবিতে ওর নাম ‘ব্যাঙ ব্যাঙ’।
প্র: রিচা চাড্ডা মানেই খোলামেলা দৃশ্য। আউট গোয়িং চরিত্র।
আমি সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কমেন্ট করি, তাই এই তকমা জুটেছে। যাই হোক, আপনি ‘মাসান’ দেখেননি? আর ২৪ বছর বয়সে পাকা চুল নিয়ে ‘নাঘমা’-র চরিত্র আমি তো আমি করেছি। তবে? আসলে ইন্ডাস্ট্রির এই কাদা ছোড়াছুড়ি, বিতর্ক, পার্টি এ সব একদম ভাল লাগে না আমার।
প্র: ‘ক্যাবারে’ ছবিটা কি শুধু পূজা ভট্টর জন্য করলেন?
একেবারেই না। এই বয়সে এসব ছবি না করলে আর কবে করব? কমার্শিয়াল ছবিতে এরকম সুযোগ বারবার আসে না।
প্র: টুইটারে কিন্তু আপনার ফ্যানরা ‘মাসান’ দেখার পরেও ‘ফুকরে টু’ ছবির চড়া দাগের রিচাকেই দেখতে চায়!
স্বাভাবিক। সলমন খান হঠাৎ ‘হটকে’ কিছু করলে লোকে সেটা নেবে?
প্র: সেই ভয়ে আপনি একধরনের অভিনয়ই করে যাবেন?
তা কেন! আমি এবার প্রোডাকশনে আসতে চাই। পছন্দমতো শর্ট ফিল্ম করব। ডিজিটাল নিয়ে ভাবনা চিন্তাও চলছে। সুধীর মিশ্রর ‘দেবদাস’ অবলম্বনে অগস্টে নতুন ছবি অবশ্যই দেখবেন। ছবির নামটাও অন্যরকম। ‘দাসদেব’। সেপ্টেম্বরে কল্কি কেকলার সঙ্গে ‘জিয়া অউর জিয়া’ আসছে। প্রত্যেকটাই অন্যরকম চরিত্র। জানেন, প্রথমদিকে সবাই বলত, ‘আর্টি ফিল্ম’ না করতে। তা হলে নাকি কেউ ফিতে কাটতে ডাকবে না। নাচের অনুষ্ঠানে পয়সা পাওয়া যাবে না। আমি নতুনদের জন্য বলছি, এসব ভুল কথা। কাজ করার সময় শুধু নিজের ‘ইন্সটিঙ্কট’ যা বলবে, শুধু তাই করা উচিত।
প্র: আপনি তো ‘পাওয়ার প্লে’ ওয়েব সিরিজে প্রীতি জ়িন্টার চরিত্র করেছেন?
ক্রিকেট বেটিং নিয়ে গল্পটা ছিল। আর কিছু বলার নেই আমার। আমরা যাই করি, লোকে সেখান থেকে কিছু না কিছু খুঁজবেই। রান কম করলে লোকে সচিন তেন্ডুলকরকেই ছাড়ে না! আমি কে? তবে কিছু ভাল কাজ করার স্বপ্ন দেখি।
প্র: যেমন?
ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আর ইমতিয়াজ আলি, ওরকম রোম্যান্টিক পরিচালক আর হয় না। মেরিল স্ট্রিপের সঙ্গে দেখা করতে চাই। অনেক প্ল্যান…
প্র: বয়ফ্রেন্ড খোঁজাটাও কি প্ল্যানে আছে ?
আজও খুঁজছি। আসলে কোনও নায়কের সঙ্গে প্রেম বা বিয়ে ভাবতেই পারি না। আমাদের সন্তানকে তাহলে কে সামলাবে?
প্র: কিছু আফসোস…
একসময়ে আমাকে বলা হয়েছিল রোগা হতে। চুল লম্বা রাখতে। ঠোঁটের শেপ ঠিক করতে। এসবের কোনও মানেই হয় না। ওয়েস্ট যেখানে কার্ভ নিয়ে মাতামাতি করছে, সেখানে আজও আমরা রোগা হওয়ার ওষুধ খেয়ে চলেছি। আমরা বদলাব না?
প্র: দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্সের ক্যান্টিনে ছেলেরা নাকি আপনাকে ‘হিরোইন’ বলে ডাকত? মনে পড়ে…
ওহ! সে কবেকার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমি বরাবরই ফ্যাশনেবল ছিলাম। কলেজে ক্যাজুয়াল লুক থাকলেও যা হোক একটা কিছু পরে কখনও যাইনি। সেই জন্যই হয়তো আমাকে হিরোইন মনে হতো।
প্র: কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কোনও নায়িকার মুম্বইয়ের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা কি সহজ?
মুম্বইতে সব্বাই ছুটছে! এখানে নায়কের খুব সুবিধা আর নায়িকাদের নয়, এটা ঠিক নয়। তাহলে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাডুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো অভিনেত্রীরা এত সাফল্য পেত না।