কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার এফ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা পাওয়ায় ওই ইউনিটের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে ওই ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তা ছাড়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার, দুজন শিক্ষককে পরীক্ষাসংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও স্নাতকোত্তর বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব এবং স্নাতক শ্রেণির সনদ বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশীদ আসকারী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের মিলনায়তনে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটায় সভা শেষে সেখানে উপাচার্য সংবাদ সম্মেলন করেন।
উপাচার্য হারুন অর রশীদ আসকারী বলেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবারও নেওয়া হবে। সে সময় যাঁরা আবেদন করেছিলেন, শুধু তাঁরাই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। দ্রুত এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ইউনিটের পরীক্ষা সমন্বয়কারী গণিত বিভাগের শিক্ষক নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হবে। এ ছাড়া সমন্বয়কারীর সহযোগী হিসেবে গণিত বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলতাফ হোসেনকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে আগামী দুই বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মনোজিৎ কুমারের ছাত্রত্ব ও স্নাতকের সনদ বাতিল করা হয়েছে।