গাজীপুর; গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চলমান একটি জুয়ার আসর ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। গাজীপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব যৌথভাবে ওই অভিযান চালায়।
আজ সোমবার বেলা ২টার দিকে ওই অভিযান শুরু হয়।
জানা যায়, গাজিপুর জেলার বাঘের বাজারে এক প্রভাবশালী চক্রের দাপটে বহুদিন ধরে চলে আসছিলো মেলা নামের জুয়ার আসর ও সব ধরনের অশ্লিল কার্যক্রম। আজ ৬ই মার্চ রোজ সোমবার গাজিপুর জেলা প্রশাসন র্যাবের সহযোগিতায় দুপুর আনুমানিক ১:৩০ মিনিটের দিকে অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলাকালে জুয়ারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিনিয়ত সব ধরনের মাদক, অসামাজিক কাজ কর্ম, লক্ষ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের প্রতারনামূলক জুয়া, চালিয়ে যাচ্ছিলো সমাজের কিছু কুচক্রি মহল। আর এই মহলের মূল হোতা ছিলো সফিকুল ইসলাম সফি( ঐরুপে পিঠা সফি) আর তার সহযোগি হচ্ছে শ্রীপুর থানার মাওনা ইউনিয়নের রাশেদুল ইসলাম রানা। যে কিনা তার দুই ছেলে এক মেয়ের জামাতা কে নিয়ে সারা রাতভর জুয়া, আর অসামাজিক কাজের দেখভাল করতেন। তার ছোট ছেলে বয়স আনুমানিক বার কি তেরো হবে সেই কোমলমতি শিশুটিকে দিয়ে জুয়ার কাজে ব্যবহার করতেন।
প্রসঙ্গত; বাগেরবাজারের এই জুয়ার আসরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় জুয়ারীদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। সম্প্রতি এই জুয়ার আসর আবার শুরু হয়। এরপর থেকে জুয়ার আসর বন্ধে প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও জুয়া চলতেই থাকে। ইতোমধ্যে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ড. এ কে এম রিপন আনসারীর মাধ্যমে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের কপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি ও বিভাগীয় কমিশনারকে দেয়া হয়েছে। এরপরও তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি। তবে বেশ সময় পর আইনগত ব্যবস্থা নিলেও এই ঘটনার নেপথ্যে কারা তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।