অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধায় কোন দেশকে পণ্য পরিবহনের সুযোগ অদ্যাবধি দেয়া হয়নি। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট এন্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি)’র আওতায় ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় ভারত থেকে পণ্য পরিবাহিত হয়।
সরকারি দলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম)’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার সমপরিমাণ বিদেশী রেমিট্যান্স এসেছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা কম। সরকারি দলের নুরজাহান বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১৯৯০ সাল থেকে আমানত ও ঋণের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষমতা ব্যাংকগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিদ্যমান সুদ নীতিমালার আওতায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো নিজেরাই বর্তমানে স্বাধীনভাবে আমানত ও ঋণের সুদ হার নির্ধারণ করে থাকে। অর্থমন্ত্রী বলেন, অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় কতিপয় খাতে (কৃষি, রপ্তানি, পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, আর্থিক অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রম ইত্যাদি) ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা বহাল রাখা হয়েছে। কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ শতকরা ১০ ভাগ নির্ধারণ করা ছাড়াও সরকারের সুদ ক্ষতিপূরণ সুবিধার আওতায় ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষের জন্য প্রদত্ত কৃষি ঋণের ওপর কৃষক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১লা জুলাই থেকে শতকরা ৪ ভাগ সুদহার বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ সুদ হার সর্বোচ্চ শতকরা ৭ ভাগ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঘোষিত আমানত ও ঋণের সুদের হারের তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাংক-ওয়ারী তালিকা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষিত সুদ হারের তালিকা থেকে দেখা যায় যে, কৃষিখাতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তফসিলি ব্যাংকগুলোর সুদ হার ছিলো সর্বনি¤œ শতকরা ২ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ।