গত সপ্তাহে বলিউডের নির্মাতা মহেশ ভাটের মোবাইলে আসা একটি কল থেকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। দাবি করা হয় ৫০ লাখ রুপি। মহেশ যদি না দেন তাহলে তার মেয়ে আলিয়া ভাট ও স্ত্রী সনি রাজদানকেও মেরে ফেলা হবে। এমনই এক হুমকির মুখে পড়ে ত্বরিত সিদ্ধান্তে নির্মাতা সরাসরি মুম্বই পুলিশে খবর দেন। সে সঙ্গে ৩৮৭ ধারায় মামলা করেন সন্দীপ নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার মামলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি তৎপরতায় তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ভাট পরিবার এমনকি বলিউড ব্যাপক উত্তাল থাকলেও এখন বেশ স্বস্তি ফিরে এসেছে। জানা গেছে, মহেশ ভাট অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন মেয়ে আলিয়াকে নিয়ে। কারণ শুটিংয়ের কাজে প্রায়ই তাকে মাঠে-ময়দানে থাকতে হয়। অবশ্য সে দুঃচিন্তা এখন নেই বললেই চলে। ফোনে হুমকিদাতা ওই ব্যক্তি এখন জেলহাজতে। এদিকে মেয়েকে নিয়ে বাবার চিন্তা শুরু হয়ে গেলেও আলিয়া কিন্তু মোটেই উদ্বিগ্ন ছিলেন না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, একেবারেই ভয় পাননি হত্যার হুমকিতে। আলিয়া বলেন, আমার বাবার সাহসী সিদ্ধান্ত ও মুম্বই পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি এখন বেশ অনুকূলে। পরিবারের অন্য সদস্যরা একটু চিন্তিত হলেও আমি বিষয়টি আমলে নিইনি। আর এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এমন অনেকেই ভয় দেখাতে পারে। তাই বলে পিছু হঠা যাবে না। সাহসিকতার সঙ্গে লড়ে যাওয়াই সর্বোত্তম পন্থা বলে আমার বিশ্বাস।