বেঙ্গালুরু টেস্টও কি তিন দিনেই ফল দেখবে? ভারত প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর আলোচনা কিন্তু এমনই। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য জমে উঠেছ ব্যাট-বলের লড়াই। কিন্তু ম্যাচটি যে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার, এই দুই দল মুখোমুখি হলে লড়াই কী আর শুধু ব্যাট-বলে সীমাবদ্ধ থাকে! স্লেজিং থাকবে, চলবে কথার লড়াইও। আজ প্রথম সেশনে যেমন উত্তাপ ছড়াল দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর স্টিভেন স্মিথের ঝগড়া।
ডেভিড ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ২২তম ওভারে উইকেট আসেন স্মিথ। কোহলির সঙ্গে তাঁর তর্কের শুরু সেই ওভার থেকেই। শুরুটা অবশ্য হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ম্যাথু রেনশর মধ্যকার তর্কের সূত্র ধরে। নন-স্ট্রাইকে থাকা রেনশ পথ আগলেছিলেন অশ্বিনের। এ নিয়ে দুজনে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। অশ্বিনের সঙ্গে তাতে যোগ দেন কোহলিও। পরে অবশ্য আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টি বেশি দূর গড়াতে পারেনি। কিন্তু সেই তর্ক থামার পর নতুন করে শুরু হয় স্মিথ আর কোহলির ঝগড়া। স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি আর স্টিভ স্মিথ মুখোমুখি হচ্ছে। এটা চাপের কারণে। চাপে রয়েছে দুই দলই।’
উইকেটে আসার পর খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না স্মিথ। ‘অ্যানিমেশন মুভির’ চরিত্রের মতোই নড়াচড়া করছিলেন, আর মুখায়ব ত্যাড়া-বাঁকাও করছিলেন তিনি। পেসার ইশান্ত শর্মা এ নিয়ে স্মিথকে ভেংচিও কাটেন। এটি নিয়ে মুখোমুখি হন কোহলি-স্মিথ। স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্য কক্ষে তখন ছিলেন রবি শাস্ত্রী। ধারাভাষ্যে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘কোহলি-স্মিথের কথার লড়াই চলছেই।’
স্মিথের বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর একটি রিভিউ নিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সফল হননি ভারত অধিনায়ক। এর আরেকবার কথার লড়াইয়ে জড়ান তাঁরা। পানি পানের বিরতির সময়েও দুজনকে বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে। ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেনের কাছে মনে হয়েছে চাপই এলোমেলো করে দিচ্ছ তাঁদের। সূত্র: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।