বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তার চেয়ে হালকা কথা আর নেই। বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাবে। সুতরাং, বিএনপির নিবন্ধন না থাকলে কারও নিবন্ধনই থাকবে না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নাগরিক দল নামের একটি সংগঠন ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোনো দল পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এবারও এখন পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ হয়নি। সরকারি দলের নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকি নেবে না।
এর জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এর চেয়ে হালকা কথা আর নেই। বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আর যদি নৈরাজ্যের দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে তার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। মোশাররফ বলেন, বিএনপি একটি বৈধ গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে বিএনপি নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। স্বাধীন ও মুক্ত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তখন বর্তমান দখলদার সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিচার করা হবে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতারা দুটি প্রচারণা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। একটি হচ্ছে দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হবে, বিএনপি দুর্বল হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। এই ‘অপপ্রচার’ বন্ধের দাবি জানিয়ে মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও এ ধরনের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মামলা ছিল। তাঁর মামলায় সাজা না হলে খালেদা জিয়ার মামলায়ও সাজা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা দিতে পারবে না। কারণ, মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য নিপুন রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।