পুলিশ বলেছে, আমিজুল ইসলাম শেরপুরে জোয়ানপুরে বোমা বিস্ফোরণের মামলার সন্দিগ্ধ আসামি।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় শেরপুরের সীমাবাড়ী-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর কালভার্টের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি ও দুইটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় শেরপুর থানার পুলিশ ও বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আমিজুলকে তাঁর নিজ গ্রামে থেকে আটক করে। এ সময় আমিজুলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরতর জখম হয় বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আবদুস সালাম পিপিএম ও ইসমাইল হোসেন। আহত দুই কনস্টেবলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আটকের পর আমিজুলকে নিয়ে শেরপুর থানা-পুলিশ ও বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন স্থানে নব্য জেএমবির অন্যান্য সদস্যদের আটকে অভিযান চালায়। মঙ্গলবার রাতে আমিজুল পুলিশকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে বলে সন্ধান দেয়। এই খবরে ওই সড়ক দিয়ে গাড়ি যোগে যাওয়ার সময় উপজেলার জামনগর কালভার্টের কাছে পৌঁছালে নব্য জেএমবির আমিজুলের সহযোগীরা ডিবি পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে আমিজুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় আমিজুল পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া অস্ত্র ছিল নব্য জেএমবিদের। কয়েকজন জেএমবির সদস্য পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করেছিল। পুলিশ ও জেএমবির মধ্যে গোলাগুলির সময় আক্রমণকারী অন্যান্য জেএমবির সদস্যরা পালিয়ে যায়।