জার্মানির এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে তাকে অভিযুক্ত করার জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান সরকারকে ‘তিক্ততা ও হতাশাজনক’ প্রশাসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বৃটেনের অনলাইন এক্সপ্রেস এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জার্মান পত্রিকা ডাই ওয়েল্ট পত্রিকার সাংবাদিক ডেনিস য়ুসেল’কে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে রাখা হয় দু’সপ্তাহ। তারপর সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে সোমবার। এমনিতেই জার্মানি-তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কে টান পড়েছে। তার ওপর এই গ্রেপ্তারে সেই অবস্থা আরও কঠোর হবে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এক জামাতার বিরুদ্ধে কমিউটার হ্যাকিংয়ের একটি রিপোর্ট প্রকাশের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে ডেনিস য়ুসেলকে। তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন মারকেল। তিনি এ ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, অযৌক্তিকভাবে এটা কারণ ছাড়াই করা হয়েছে। ডেনিস য়ুসেল তো স্বেচ্ছায় তুরস্ক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। তিনি তদন্তে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করছিলেন। তাই তুরস্কের বিচার বিভাগ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাবে এমনটা প্রত্যাশা করে জার্মানি। উল্লেখ্য, মিডিয়া দমনপীড়নের নামে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ পর্যন্ত শতাধিক প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তুরস্কের বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বলেছেন, ডেনিস য়ুসেল সহ তুরস্কে এখন ১৫২ জন সাংবাদিক নিরাপত্তা হেফাজতে আছেন। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের ক্রিশ্চিয়ান মিহর বলেছেন, একজন সাংবাদিককে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর তদন্তের নামে অনিশ্চিতভাবে আটক রাখা হবে এটা মেনে নেয়া যায় না। একজন জার্মান কর্মকর্তা এর আগে বলেছেন, তুরস্কের এমন কর্মকান্ডের কারণে ইউরোপিয় মিত্রদের সঙ্গে একজোট হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তার মন্তব্যের পরেই অ্যাঙ্গেলা মারকেল ওই মন্তব্য করেছেন।