এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ কোনো ধরণের পূর্বঘোষণা ছাড়াই সারাদেশের মতো উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওতেও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় ঠাকুরগাঁওয়ের পরিবহন শ্রমিকরা।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বাস টার্মিনাল, বিআরটিসি বাস কাউন্টার, আর্টগ্যালারী বাসস্ট্যান্ডসহ আন্ত:জেলা বাস, ইজিবাইক, পাগলু, ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে যানবাহন ছেড়ে যেতে বাধা দেন তারা। পাকা সড়কগুলোতে প্রবেশের মুখেই আটকে দেয়া হয় বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা বাস, ইজিবাইক, পাগলু, ট্রাক, ট্রাক্টরগুলো।
এদিন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বাস চলাচল করায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার পাশাপাশি চালকদের মারধরেরও ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ শুরু হওয়া এই পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহননির্ভর হাজার হাজার মানুষ।
বেলা সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড নামক এলাকায় চৌরাস্তা থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক পুড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ পরিবহণ শ্রমিকরা।
এসময় জেলার বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এরই মধ্যে দুপুর আড়াইটায় সারাদেশে পরিবহণ ধর্মঘট বাতিল করা হলে যেন প্রাণ ফিরে পায় পুরো ঠাকুরগাঁও। কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে পুরো ঠাকুরগাঁওজুড়ে।
উল্লেখ্য যে, মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদসহ ৫ জন নিহতের মামলায় বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে এবং চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন জারি করার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। প্রায় ৪০ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘট চলার পরে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে বৈঠক শেষে আজ দুপুর আড়াইটায় তা বাতিল করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।