২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বিএনপি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের পেছনে যিনি মদদ জোগাচ্ছেন তিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। আজকে একটি অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণ করে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর বারবার যখনই আঘাত এসেছে, সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করেছে। কিন্তু তাদের ওপর যেদিন প্রথম আঘাত এসেছে সেদিন তাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়ী।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অযৌক্তিক।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, এখন বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম—সরকার সব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। কারণ তারা একদলীয় শাসন কায়েম করবে। বিচারের নামে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট। বিএনপি নির্বাচন চায়, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। কিন্তু সে নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।