গ্রাম বাংলা ডেস্ক: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আর রাজনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যেও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর সামাজিক ও পারিবারিক রীতি-নীতি অনুযায়ী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি নববধূ হনুফা আক্তার রিক্তাকে নিয়ে এখন শ্বশুরালয়ে অবস্থান করছেন। গতকাল সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মিরাখলা গ্রামে মুন্সী বাড়িতে পৌঁছেন নবদম্পতি। সামাজিক ও পারিবারিক সব রীতি-নীতি অক্ষুণ্ন রেখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিবাহোত্তর বাকি নিয়ম যথাসময়েই সম্পন্ন করতে দ্বিরাগমনে শ্বশুরালয়ে এসেছেন তিনি। ‘মিরাখলা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে’ পবিত্র জুমআ’র নামাজ আদায় করেন মন্ত্রী। মিরাখলা গ্রামবাসীও মন্ত্রী জামাইকে পেয়ে আনন্দিত। এলাকার অনেকে এসময় তার সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। মন্ত্রীর সহ-ধর্মিণীর পরিবার এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিয়ের পর বর ও কনে একসঙ্গে শ্বশুরালয়ে এসে আড়াই দিন বেড়ানোর সামাজিক বিধানকে দ্বিরাগমন বললেও মিরাখলা মুন্সিবাড়ি তথা চান্দিনার জামাতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে অধিষ্ঠিত থাকায় শুধু শুক্রবার সারা দিন ও রাত্রি যাপনের পর শনিবার সকালেই শ্বশুরালয় ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোরসেদ জানান, যদিও এটি মন্ত্রী মহোদয়ের সরকারি সফর নয় তারপরও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ততায় নিজের প্রয়োজনেও বিয়ের প্রতি ছিল যার এত অনীহা সেই ব্যক্তিটির হঠাৎ বিয়ে করার খবরটি অনেকের কাছেই ছিল আশ্চার্যজনক। অবশেষে সকলের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে ধর্মীয় ও সামাজিক সকল রীতিনীতি অক্ষুণ্ন রেখে গত ৩১শে অক্টোবর মহাধুমধামে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপির রাজসিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওই দিন সাত শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে কনের পিত্রালয়ে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। বিয়ে সম্পন্ন করার পর নববধূকে নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডের মন্ত্রী পাড়ার সরকারি বাসভবনে ওঠেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। রকমারি ও ব্যক্তিগত কাজের সুবিধার্থে আগামী ১৪ই নভেম্বর ঢাকায় সংসদ ভবনের এলইডি হলে এবং ৬ই ডিসেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামে নিজ বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।