স্পর্শকাতর অঙ্গে স্ত্রীর লাথিতে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে মৃত্যু হয়েছে এক স্বামীর। এ অভিযোগে ওই স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে ব্যাতারায়ানপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, নিহত স্বামীর নাম অরুণ কুমার (পরিবর্তিত নাম)। তার বয়স ৪৫। তার স্ত্রীর নাম রোহিনী কুমার (পরিবর্তিত নাম)। রোহিনী দাবি করেছেন, তার স্বামীর এইচআইভি আছে। রোববার তিনি ঘরে ফিরেই তার কাছে শারীরিক চাহিদা পূরণের আবেদন জানায়। এক পর্যায়ে তিনি জোর করেন। রোহিনী পুলিশকে বলেছেন, তখন আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে লাথি মেরেছি। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে স্বামী হত্যার অভিযোগ এনেছে। পুলিশ বলেছে, ঘটনার সময় অরুণ ছিলেন কিছুটা মদ্যপ। তিনি বাসায় ফিরেই স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলেন এবং তার কাছে একজন স্বামী যা চায়, তাই দাবি করেন। কিন্তু তার কাছ থেকে অনেক আগেই রোহিনী দূরত্ব বজায় রাখেন তার অসুস্থতার কথা জেনে। রোববার যখন রোহিনী তার স্বামীর আবেদনে সাড়া দেন নি তখন অরুণ তার ওপর শক্তি প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে রোহিনী তার স্বামীর স্পর্শকাতর অঙ্গে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান অরুণ। উল্লেখ্য, অরুণ ও রোহিনী ১৫ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের রয়েছে ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে। অরুণ শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভারের চাকরি করতেন। কয়েক বছর আগে অরুণের দেহে যখন এইচআইভি ধরা পড়ে তারপর থেকে তাদের সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয়। রোহিনী পুলিশকে বলেছেন, তারপরও তারা একই ছাদের নিচে বসবাস করছিলেন শুধু মেয়েটির কথা ভেবে। তদন্তকারীরা বলেছেন, ওই দম্পতির মেয়ে তাদেরকে বলেছে, সে পিতামাতার ঝগড়া শুনতে পেয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে জানতে পায় তার পিতা মারা গেছেন। ওদিকে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এমএন আনুচেঠ বলেছেন, মৃতদেহের পোস্টমর্টেমই বলে দেবে কি কারণে অরুণ মারা গেছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে তারা অরুণের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে পোস্ট মর্টেমের পরে।