ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনটি মুছে দিতে পারলে তা-ই করত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা এড়াতে নয়, এদিন যে লজ্জার একটি রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে তাদের। আফগানিস্তানের কাছে সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে মাত্র ৮৩ বলে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে ওয়ানডেতে এত কম বলে অলআউট হয়নি আর কোনো দল।
২০০১ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ বলে মাত্র ৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সবচেয়ে কম বল আর কম রানের দুটি রেকর্ডই সে সময় নিজেদের করে নেয় তারা। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়েকে সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে থেকে মুক্তি দিয়েছিল নামিবিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপে পোচেফস্ট্রুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ বলে অলআউট হয়েছিল তারা। সেই বিশ্বকাপেই ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি হয়ে যায় কানাডার। পার্লে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। কানাডার কাছ থেকে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা আবারও জিম্বাবুয়ের কাছে চলে আসে ২০০৪ সারে। সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। যেটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের স্কোর। গতকাল ৮৩ বলে স্থায়ী ইনিংসে সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি আবারও জিম্বাবুয়ের।
হারারেতে গতকালের ম্যাচটি ছিল অনেকটা ফাইনালের মতো। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২-এ সমতায় ছিল। অঘোষিত ফাইনাল খেলতে নেমে রহমত শাহর ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৫৩ রান তোলে সফরকারী আফগানিস্তান। বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শুরু হতে দেরি হয়। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য স্বাগতিক দলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ১৬১ রান। লক্ষ্যে পৌঁছানো তো দূরের কথা, উল্টো ভুলে যাওয়ার মতো একটি রেকর্ড সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন শন উইলিয়ামসরা।
উইকেট পতনের শুরু দ্বিতীয় ওভার থেকে। ১৪ ওভার পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতেই পড়তে থাকে উইকেট। জিম্বাবুয়ে যে ১৪ ওভার খেলেছে এর মধ্যে উইকেট পড়েনি শুধু প্রথম, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম ও দ্বাদশ ওভারে। ডাবল ফিগারে যেতে পেরেছেন মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান। ক্রিকইনফো।