ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: ট্রাক চাপায় ট্রাফিক কনষ্টেবল নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-টঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চন্দ্র ত্রিমোড় থেকে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বক্স প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় গাজীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন সংবাদটি নিশ্চিত করেন।
ট্রাক চাপায় কনষ্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক আখ্যায়িত করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, একজন করে ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনষ্টেল দিয়ে চলতো চন্দ্রা ত্রিমোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স। বক্সটি প্রত্যাহার করার পর এখন থেকে ত্রিমোড়ে দায়িত্ব পালন করবে হাইওয়ে পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মহাসড়কের বিভিন্ন যানবাহন থেকে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ নিয়মিত দৈনিক ও মাসিক চাঁদা আদায় করেন। হাইওয়ে পুলিশ নামমাত্র একটি রশিদ দিয়ে বড় অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে। একই সঙ্গে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের কথা বলে গণহারে চাঁদা তোলে। চন্দ্র ত্রিমোড় থেকে গাজীপুর রুটের একটু সামনে চন্দ্র মন্ডল পাড়া নামক স্থানে প্রতিনিয়ত মহাসড়কের দুই দ্বারে যানবাহনের লম্বা সাঁড়ি থাকে। এই সাঁড়ির সকল যানবাহন থেকে হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। সিগন্যাল অমান্য করলে দৌঁড়ে ধরে বেশি টাকা জড়িমানা করে পুলিশ। ফলে চাঁদার হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘাতক ট্রাক চালক ট্রাফিক কনষ্টেবলের উপর দিয়ে চলে যেতে পারেন বলে অনেকের মন্তব্য।
ধারণা করা হচ্ছে, হাইওয়ে ও থানা পুলিশের চাঁদাবাজির বলি হয়েই নিহত হয়েছেন ট্রাফিক কনষ্টেবল সালামত। মূলত এই কারণেই ট্রাফিক বক্স প্রত্যাহার হয়ে থাকতে পারে। আর যেন উধুর পিন্ডি বুধুর গাড়ে পরতে না পারে ওই জন্যই পুলিশ বক্স প্রত্যাহারের মত ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকতে পারে বলে ভূক্তভোগীদের অভিমত।
প্রসঙ্গত: বৃহসপতিবার সকাল ৭টায় চন্দ্র ত্রিমোড়ে একটি ট্রাককে থামানোর সিগন্যাল দেয়ার পর ট্রাকটি না থামিয়ে ট্রাফিক কনষ্টেবলের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাফিক কনষ্টেবল সালামত মিয়া(৪৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।