রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে গভীর শালবনের ভেতরে এক কিশোরীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণ করেছে তিন বখাটে। কিশোরী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার সত্তের বাড়ি গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের কন্যা (১৬)।
শনিবার বিকালে সাতখামাইর এলাকার ডাকাইত ভিটার শালবনের ভিতরে ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষকরা হলেন, বরমী ইউনিয়নের ডালেশ্বর গ্রামের গেন্দু মিয়ার ছেলে রাশেদুল (২১), হাসেম খা’র ছেলে সেলিম (২৩) ওরাল মিয়ার ছেলে রফিকুল (২২)।
জানা যায়, ওই কিশোরীকে সেলিম কয়েক সপ্তাহ যাবৎ মোবাইল ফোনে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সেই প্রলোভনে শনিবার দুপুরে কিশোরী তার বান্ধবীকে সাথে নিয়ে ডেমু ট্রেনে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এসে নামে। পূর্ব থেকে অপেক্ষমান ধর্ষকরা সিএনজিতে তুলে কর্মস্থলের কথা বলে দুই’কিশোরীকে সাতখামাইরের ডাকাইত ভিটার গজারী বনে নিয়ে যায়। যুবকরা দু’জনকেই ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় এক কিশোরী শালবন থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। তিন ধর্ষক অপর জনকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পালিয়ে আসা কিশোরীর কথা শুনে স্থানীয় লোকজন অপর কিশোরীকে শালবন থেকে উদ্ধার করে। এসময় তিন ধর্ষক তাদরের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
আরো জানা যায়, এ ঘটনা সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন অর রশীদ ধর্ষকদের পরিবারের সাথে কথা বলে। পরের দিন রোববার পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা কিংবা শালিস বৈঠকেরও ব্যবস্থা করেননি। মেয়েদের অভিভাবক এলেই তাদেরকে থানায় পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
শ্রীপুর মডেল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে তিনি ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ধর্ষিতা কিশোরীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে দু’কিশোরীর মধ্যে একজন ধর্ষিত হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।