ঢাকা; বিমানবন্দরে আটকে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান। ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী তালেয়া রেহমানকে দেখতে গতকাল টার্কিশ এয়ারের সকাল ৭টার ফ্লাইটে লন্ডন যাবার কথা ছিল তার। কিন্তু বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেলেও ফ্লাইট মিস করায় বাসায় ফিরে যান।
টার্কিশ এয়ারের আরেকটি ফ্লাইট ধরে লন্ডন যেতে তিনি আজ সকালে আবার বিমানবন্দরে যাবেন। শফিক রেহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, দুপুর একটার দিকে তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার বিদেশ ভ্রমণে কোন বাধা নেই। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আগামীকাল (শুক্রবার) সকালের ফ্লাইটে যেতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার একই সময়ে আমি বিমানবন্দরে যাব, দেখি, যেতে পারি কিনা। শফিক রেহমান বলেন, আমি কোনো কনফারেন্স বা মিটিংয়ে যাচ্ছি না। আমার স্ত্রীর একটি বড় অপারেশন হবার কথা ২৭শে ফেব্রুয়ারি। এখন আমার তার পাশে থাকা দরকার। এটা একটা মানবিক কারণ। এ ছাড়া আমার বিদেশে যেতে কর্তৃপক্ষের কোনো বাধা নেই। তিনদিন আগে আমার পাসপোর্টটিও ফেরত পেয়েছি। প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতি রয়েছে। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল শফিক রেহমানের। লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রী তালেয়া রেহমানের পাশে থাকতে যুক্তরাজে?্য যেতে চেয়েছিলেন তিনি। শফিক রেহমান বোর্ডিং পাস নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়ার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশের সদস্যরা জানান তার বিদেশ যাওয়ার নির্দেশনা নেই। এ সময় শফিক রেহমান আদালতের প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখালেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। বিমানবন্দরের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ভোরের দিকে উনি এসেছিলেন। কিন্তু উনার মূল কাগজপত্র আমাদের হাতে না আসায় সমস?্যা হচ্ছিল।