সাতক্ষীরায় অপহরনের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারা যুবক শ্রীপুরে জীবন্ত উদ্ধার আটক ২

Slider গ্রাম বাংলা

FB_IMG_1487747137650

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:  সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বংশীপুরে অপহরনের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ভিকটিম মো: ইস্রাফিল (১৫) কে মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ উপজেলার কেওয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের বাড়ি থেকে জীবন্ত উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ইস্রাফিলকে আশ্রয় দেয়ায় বাদীর ছোট বোন মরিয়ম আক্তার সাথী (৪০) ও কন্যা মর্জিনা (২৬) কে আটক করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার তারানিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তার পুত্র ইসরাফিল (১৫) কে অপহরনের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ১৪ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা জেলার আমলি আদালতে পৈইখালি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম, তার বড় ভাই শেখ আব্দুর রহমান সহ ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ, ব্যবসায়ীক পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা ২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্রাফিলকে অপহরন করে ভারতে পাচার কিংবা জ্বলন্ত ইট ভাটার মধ্যে ফেলে হত্যা করেছে। আদালতে দায়ের করা মামলা ১৬ ফেব্রুয়ারী শ্যামনগর থানায় রুজু হয়। মামলার বাদী আব্দুল মজিদ জানান, তার পুত্র নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার মামলা গ্রহন করেনি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শেখ আব্দুর রহিম তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থক ছিল আব্দুল মজিদ। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়। তার সুনামে ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আব্দুল মজিদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করানো হয়েছে। শ্রীপুর মডেল থানার এস.আই আবুল হাসান জানান, শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আ: ছামাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মরিয়ম ও মর্জিনার বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিম ইস্রাফিলকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে আটক মরিয়ম ও মর্জিনা জানায়, তারা প্রায় দেড় বছর যাবত আব্দুস ছামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় শারা নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকুরী করছে। গত দু’দিন আগে ইস্রাফিল তাদের বাসায় এসেছে। মামলা সংক্রান্ত ঘটনার বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতে দায়ের করা মামলা থানায় রুজু হয়েছে। গাজীপুরে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম ইস্রাফিলকে থানায় আনতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *