এদিকে সোমবার দুপুরে পিন্টু দেবের প্রতিবেশীরা দেখতে পান তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ঘরের কারও কোনো সাড়া নেই। মিলি ও তাঁর সন্তানকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের সন্দেহ তৈরি হয়। পরে জানানো হয় বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে। চেয়ারম্যান মাধবপুর থানা-পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ সোমবার দুপুরে ঘিলাতলী গ্রামে যায়। পুলিশ পিন্টু দেবের বসত ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে দেখতে পায় তাঁর স্ত্রী মিলি ও দেড় বছরে শিশুপুত্র প্রতীকের লাশ ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলছে। খবর পেয়ে পিন্টু বাড়িতে আসেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে তিনি নাশতা করে পেশাগত কাজে বেড়িয়ে যান। পরে কী ঘটেছে তিনি কিছুই জানে না।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা ধারণা করছেন এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মূল ঘটনা বোঝা যাবে বলে জানান ওসি। তিনি আরও জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর জেলা আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।