ডেস্ক; ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় মালয়াম চলচ্চিত্রের খুবই নামকরা এক নায়িকা তার নিজের গাড়িতে ধর্ষিত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ত্রিশুরে তার নিজের বাড়ি থেকে কোচি যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি তার অডি গাড়িতে ছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, ওই নায়িকার গাড়ির চালক সড়ক দুর্ঘটনার ভান দেখায়। অর্থাৎ ভুয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনা সাজায়।
এ সময় গাড়ি থেমে গেলে তিন ব্যক্তি ওই গাড়িতে উঠে ওই নায়িকাকে ধর্ষণ করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, ওই নায়িকা মালয়াম চলচ্ছিত্র শিল্পে খুবই পরিচিত ও বিখ্যাত। তিনি তামিল, তেলুগু ও কানাড়া ছবিতেও অভিনয় করেছেন। জিতেছেন বেশ কিছু পুরস্কার। ঘটনার সময় তার গাড়ি চালাচ্ছিলেন চাক মার্টিন ও সুনীল কুমার ওরফে পালসার সুনীল। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত মার্টিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত সুনীল ও অন্য তিনজন পলাতক রয়েছে। সুনীল ওই নায়িকার গাড়ির চালক হিসেবে চাকরি করছিল কয়েক মাস। সিনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ধর্ষণ, ফৌজদারি অপরাধ, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র সহ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ওই নায়িকার মেডিকেল পরীক্ষায় তিনি ধর্ষিত হয়েছেন এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের একটি ছবিতে ‘ডাব’ করতে নায়িকা কোচি যাচ্ছিলেন। কিন্তু আঙ্গামালির কাছে আথানি এলাকায় অকস্মাৎ থেমে যায় তার গাড়ি। সেখানে ওই গাড়িতে পিছন থেকে একটি টেম্পো ট্রলার আঘাত করে। এ সময় মার্টিন গাড়ি থামিয়ে দিয়ে নেমে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে তিনজন পুরুষ সহ সে গাড়িতে ওঠে। মার্টিন গাড়ি চালানো শুরু করে। ওদিকে ওই তিন পুরুষ ওই নায়িকাকে ধর্ষণ করা শুরু করে। এ সময় অভিযুক্ত মার্টিন এ দৃথ্যের একটি ভিডিও ধারণ করে। নায়িকার ছবি তোলে। প্রায় এক ঘন্টা এমনটা চলতে থাকে। এরপর মার্টিন গাড়ি থেকে নেমে টেম্পো ট্রলারে উঠে পড়ে। উল্লেখ্য, টেম্পো ট্রলারটি তাদের গাড়ির পিছন পিছন যাচ্ছিল। পুলিশ বলেছে, এরপর আরও একজন অভিযুক্ত ওই গাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তারা নায়িকাকে পাদামুগালের কাছে গাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে আবার গাড়িতে ওঠে মার্টিন। সেই ওই নায়িকাকে ছবির পরিচালকের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই পরিচালক পুলিশে ফোন করে পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। কোচি পুলিশ কমিশনার পি এম দিনেশ বলেছেন, তদন্ত চলছে। ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে কালামাসেরি মেডিকেল কলেজে। তিনি কালামাসেরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মার্টিনকে চালকের চাকরি নিয়ে দেয় সুনীল। মার্টিন ও সুনীলের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথনের রেকর্ড পেয়েছে পুলিশ। তাতে দেখা গেছে তারা গত শুক্রবার ৪০ বারের বেশি ফোনে কথা বলেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার এসএমএস বিনিময় করেছে।