প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাজশাহীতে কর্মিসভা শেষ করে ওবায়দুল কাদের ঢাকায় ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যমুনা রিসোর্টে যাত্রাবিরতি করেন। সেখানে আগে থেকেই টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত হন। তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর দলীয় কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিলে তিনি স্লোগান থামাতে বলেন এবং এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুল কাদেরকে সেখানে আপ্যায়নের আমন্ত্রণ করেছিলেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ হাসান ইমাম খান। কিন্তু হাসান ইমাম শনিবার বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ায় যমুনা রিসোর্টে উপস্থিত হতে পারেননি। ওবায়দুল কাদের রিসোর্টের পদ্মা রেস্ট হাউসে ঢুকে সাংসদ হাসান ইমাম উপস্থিত নেই জানতে পেরে তাঁকে উদ্দেশ করে গালাগাল করেন। এ সময় টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন হাসান ইমামের পক্ষ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে কিছু বলতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ছানোয়ার হোসেনকে তিনটি চড় ও ঘুষি মারেন। পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রেস্ট হাউস থেকে বের হয়ে যান। তিনি হেঁটেই রিসোর্টের গেট পর্যন্ত আসেন। সেখানে দলীয় নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
সাংসদ ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওবায়দুল কাদেরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।