সিলেটে পরিবহন শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের জের ধরে আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। মাইক্রোবাস চালক সংগঠন এ ধর্মঘটের ডাক দিলেও এতে বাস-ট্রাক চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
নগরের মহাজনপট্টি এলাকায় তিন পরিবহন শ্রমিক আটককে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। আচমকা ডাকা এ ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেককে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে গাড়ি না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। আবার অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দেন।
ধর্মঘট পালনে সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করতে দেখা যায় পরিবহন শ্রমিকদের। দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুল, হুমায়ূন রশীদ চত্বর, কদমতলী, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্টেশনসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তাঁরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করতে দেখা গেছে।
সিলেট জেলা মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি শাহ রিপন আহমদ বলেন, আটক তিন শ্রমিকের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাঁদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। রাতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় মহাজনপট্টি থেকে তিনজন পরিবহন শ্রমিককে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করলে পুলিশ হামলা চালায়।
তবে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দিন জানিয়েছেন, তিন শ্রমিককে আটকের জেরে উপশহরে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে হামলা চালান একদল পরিবহন শ্রমিক। এরপর শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুরে শ্রমিকদের নিয়ে পুলিশ কমিশনার বৈঠক ডেকেছেন, এতে ধর্মঘট প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।