সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জয়দা গ্রামের তৈয়বুর রহমান টিটু মিয়ার পুত্র জয়দা দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র মাহফুজুর রহমান সোহাগ হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার হোসেন জয়দা গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর বাড়ির একটি ঘরের পেছন থেকে উদ্ধার করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে হত্যাকান্ডের মূল হুতা নজমুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা দাটি।
এদিকে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জন্য জয়দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র নজমুল (১৮), নুরুল ইসলামের পুত্র শাকিব মিয়া (১৩) এবং দাওরাই গ্রামের সিএনজি অটোরিক্সা চালক রাজু মিয়া (২৫) কে আটক করে।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃত জয়দা গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র শাকিব মিয়াক ছেড়ে দেয়া হয় এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নজমুল (১৮) ও রাজু মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে জয়দা গ্রামের নিরীহ তৈয়বুর রহমান টিটু মিয়ার পুত্র মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র মাহফুজুর রহমান সোহাগকে কি কারনে খুনীরা নৃশংস কায়দায় হত্যা করেছে ৩দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়নি।
নিহত সোহাগের পিতা তৈয়বুর রহমান টিটুসহ এলাকাবাসী হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফ্রেবুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় জয়দা গ্রামের তৈয়বুর রহমান টিটুর পুত্র মাহফুজুর রহমান সোহাগ নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৮টায় গ্রামের চেন্নী হাওরের ধানী জমিতে মাহফুজুর রহমান সোহাগের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সোহাগের পিতা তৈয়বুর রহমান টিটু বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
.