বরগুনা; বরগুনায় অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরগুনার বাস মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বানে এ ধর্মঘট শুরু হয়। বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশাল বাসমালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে বরগুনায় সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সব বাস ও পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এসব রুটের যাত্রীরা। বাস শ্রমিকদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানান বাস মালিক-শ্রমিকরা। ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা জানান, বাস চলাচল না করায় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না কেউ। আবার অনেক সরকারি চাকরিজীবী সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না তাদের কর্মস্থলে। তাই যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন তারা।
বরগুনা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ননের সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাবু জানান, গ্রেপ্তার ১৭ জন শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, মহাসড়কে সরকারি আইন প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ে মাহেন্দ্র, অটোরিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন তারা। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বাক-বিত-া। এ সময় মাহেন্দ্র, অটোরিকশা শ্রমিকরা ৪টি বাস ভাংচুর করে। বাস শ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জন শ্রমিককে আটক করেন। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আমতলীতে একটি বাসে আগুন দেয় মাহেন্দ্র, অটোরিকশা শ্রমিকরা। এ কারণে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে বৃহস্পতিবার থেকে তিন জেলার ৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়।