পুলিশের ভাষ্য, মোয়াজ্জেম চরমপন্থী দলের নেতা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাংশাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
পাংশা থানা-পুলিশের ভাষ্য, চরমপন্থী বিপুল বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোয়াজ্জেম। তিনি পলাতক ছিলেন। গতকাল ভোরে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরের দিকে তাঁকে রাজবাড়ী আনা হয়। দিবাগত রাতে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে যায় থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের নাওরা বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় মোয়াজ্জেম পালানোর চেষ্টা করে। বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোয়াজ্জেমের লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এ জন্য তাঁর লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।