ঢাকা; দেশের সব রাজনৈতিক দল নিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায় নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ আশার কথা বলেন।
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাউকে রেহাই দেব না।
অতীতের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এবং কর্মকর্তাদের বক্তব্যের জের ধরে সিইসি বলেন, বাংলাদেশে কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন হয়েছে। কিছু নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। কিন্তু এসব নির্বাচন কেন বিতর্কিত হয়েছে, তা আমি বিশ্লেষণে যাব না। একটা কথা বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে নির্বাচন অবাধ ছিল না বলেই বিতর্কিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনকক্ষে আজ এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে সিইসি, চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাৎ হোসেন এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে ক্ষমতায় ভারসাম্য আসে। আর যদি যোগ্য প্রার্থীরা অংশ নেন, তবে ভোটাররাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন। নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়, যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। কারণ, তখন ক্ষমতাধর দল একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, দলমত–নির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা।’
বৈঠকে কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা সব কমিশনার একমত হয়েছি। নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাউকে রেহাই দেব না। যেখানে নির্বাচন হবে, সেখানে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।’
সভায় কমিশন সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রশংসা করে নুরুল হুদা বলেন, আগে জেসমিন টুলী থেকে শুরু করতে চাই। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে উপহার দিয়েছেন। তখন দেশবাসী তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল। তাঁকে কেউ প্রভাবিত করতে পারেননি। আপনাদের সবাইকে জেসমিন টুলীর মতো দৃঢ়তা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।