ডেস্ক; যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
২৮শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে একটি ওয়ার্কশপ। অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য ও সচেতনতামূলক প্রচরণা চালানোর জন্য এতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশনস’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে। এতে বলা হয়েছে, ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার ওয়েগান্ড। বিবৃতিতে বলা হয়, দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। এখানে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আলোচনা হয়। আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল স্ট্রাটেজি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অস্ত্র বাদে সব ইস্যু। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ আরো বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, যেখানে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সহযোগিতা জোরালো করতে পারে তাও আলোচনা করা হয়েছে। এমন ইস্যুর মধ্যে রয়েছে কানেকটিভিটি বা সংযুক্তি, অভিবাসন, শান্তি ও নিরাপত্তা, সন্ত্রাস, এজেন্ডা ২০৩০। এ ছাড়া ‘হরাইজন ২০২০’ বিষয়ে সহযোগিতা জোরালো করতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষ। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সৃষ্টিশীলতা, মহাশূন্যবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র যৌথভাবে উদ্ভাবনে কাজ করবে দু’পক্ষ। এ ছাড়াও ‘ইরাসমাস’ কর্মসূচির অধীনে জনগণ-জনগনের মধ্যে চলমান যোগাযোগের গুরুত্বে স্বীতৃতি দিয়েছে দু’পক্ষ। আগামী বছর দু’পক্ষের মধ্যে ঢাকায় হবে পরবর্তী আলোচনা।