শুধু বাংলাদেশের নয়, আইপিএলের সৌজন্যে মোস্তাফিজুর রহমান এখন হায়দরাবাদেরও পেসার। অথচ বাংলাদেশ যখন ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে হায়দরাবাদে গেল, দলের সঙ্গে থাকতে পারলেন না বাঁহাতি পেসার। মোস্তাফিজ নিজেকে পুরো ফিট মনে করছিলেন না বলেই নেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে এই সময়ে নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝতে খেলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দুটি ম্যাচ।
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বিসিএলের দুই ম্যাচে চোখে পড়ার মতো কিছু করেননি মোস্তাফিজ। সিলেটে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। ফতুল্লায় মধ্যাঞ্চলের সঙ্গে বোলিং করেছেন আরও বেশি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩১ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৪৭ রান। আর এই দুই ম্যাচে উইকেট মাত্র চারটি। তবে বিসিএলে মূলত দেখার ছিল দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে মোস্তাফিজের ফিটনেস। সেদিক দিয়ে পাস নম্বরই পাচ্ছেন তিনি।
কাল ফতুল্লায় ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে মোস্তাফিজের বোলিং দেখে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ‘ওর ফিটনেসে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমার মনে হয়, সে এখন টেস্টের জন্য পুরোপুরি ফিট। কোনো সমস্যার কথা সে বলছে না। নতুন করে চোটে না পড়লে আশা করি, শ্রীলঙ্কা সফরের দলে তাকে রাখা যাবে।’ মোস্তাফিজেরও একই আশা, ‘এখন কোনো সমস্যা নেই। ইনজুরিতে পড়ে ছয় মাস বাইরে ছিলাম। ছন্দে ফিরতে একটু সময় তো লাগেই।’ দক্ষিণাঞ্চল দলে মোস্তাফিজের অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাকের বিশ্বাস, দীর্ঘ দিন পর টেস্টে ফিরতে ম্যাচ দুটি ভীষণ কাজেই দেবে তাঁকে, ‘ওর এই দুটি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। টেস্টে ফিরতে ম্যাচ দুটি তাকে সাহায্য করবে। মাঠে সে ভালোই করেছে। যখন কাটার মারার দরকার কাটার মেরেছে, যখন জোরে বোলিংয়ের দরকার সেটাও করেছে। টেস্ট খেলতে এখন সে পুরোপুরি ফিট।’
ছুটি কাটাতে আজ সকালে মোস্তাফিজ যাচ্ছেন সাতক্ষীরায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে ফিরে পরদিন যোগ দেবেন জাতীয় দলের অনুশীলনে।