স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার কাশিমপুর পার্ট-২ এ ডিভিশন সেলে দীর্ঘদিন রয়েছেন জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। যুদ্ধাপরাধ মামলায় প্রাথমিক রায়ের একদিন পূর্বে ওই কারাগারের ডিভিশন সেল থেকে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। রায়ে ফাঁসি হওয়ার আজ তাকে পূর্বের জায়গায় আনা হয় তবে ডিভিশনে নয় ফাঁসির সেলে।
৩১ অক্টোবর মীর কাশেম আলীকে কাশিমপুর পার্ট-২ থেকে ঢাকায় নেয়া হয়। ২নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড হয়। রায়ে ফাঁসি হওয়ার পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে রাখা হয়। দুই দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কাশেম আলীকে কাশিমপুর পাট-২ এ ফিরিয়ে আনা হয়। তবে পার্ট-২ এ দীর্ঘ সময় ডিভিশন সেলে থাকা কাশেম আলী এখন ফাঁসির সেলে। কারাবিধি অনুয়ারী তাকে চল্লিশ সেল নামক ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার কাশিমপুর পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, কাশেম আলী এখানেই ছিলেন। রায়ের পর আবার এখানেই আনা হয়েছে। কারাবিধি অনুয়ারী তিনি এখন ফাঁসির সেলে রয়েছেন। পূর্বে আদালতের নির্দেশে তিনি ডিভিশন সেলে ছিলেন।
কারা সূত্র জানায়, পারিবারিক পোষাক পড়ে বের হওয়া কাশেম আলী কয়েদীর পোষাক পড়ে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেছেন। ২নভেম্বর মামলায় রায়ে ফাঁসি হওয়ার পর তাকে সাধারণ পোষাক খোলে কয়েদীর পোষাক পড়ানো হয়।
এরপূর্বে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদন্ড বহাল থাকা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামানকে কাশিমপুর পার্ট-২ থেকে পার্শবর্তি হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারে এক রাত থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে কাদির মোল্লাকেও একই কারাগার থেকে ঢাকায় নেয়া হয়।
ফলে কাশিমপুর-২ কারাগারে সাধারন বন্দি হিসেবে প্রবেশ করে ফাঁসির জন্য চূড়ান্ত হয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীকে বের করা হল।