রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ ব্যক্তিকে ই-মেইল দিয়েছিলেন। টিআইবিসহ কিছু বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার আগেই দুর্নীতি হয়েছ তা প্রমাণে ব্যস্ত ছিল। তাদের এ তৎপরতার কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এতে প্রকল্পের কাজ দুই বছর পিছিয়েছে। দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদিও এটা সরকারের দায়িত্ব, আমি মনে করি সরকার এটা ভেবে দেখতে পারে।’
এই রায়ের পর বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দুদক যখন বলেছিল, এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তখন তারা মানেনি। বলেছে, সরকারের প্রভাবে দুদক এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কানাডার আদালতের রায়ের পরও তারা একই মনোভাব প্রকাশ করেছে। এর অর্থ তারা দেশও বিদেশের কোনো আদালতই মানে না। এরা আসলে গ্রাম্য মোড়লদের মতো। নিজেদের বিবেচনার বাইরে যেতে পারে না।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায়–বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, সংস্কৃতি–বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।