বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের নামে এ সরকারের ওপর কলংকের বোঝা চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তা আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর মতো অন্যায়ের সাথে মাথা নত করেননি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জনতা ব্যাংক লি. আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তোফায়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন দুর্নীতি হয়নি, আজ তা প্রমাণিত হলো। সেকারণেই তিনি নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে নোবেল জয়ী ড. ইউনূস এবং আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনের নাম এসেছে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ টকশোয় তাদের সাথে সুর মিলিয়েছিলেন। আদালতের রায়ের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুরে বলবো, এখন তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সবকিছুতে রাজনীতি ঢুকানো ঠিক নয়। ব্যাংকিং খাত একটি সংবেদনশীল খাত, এখানে সংশ্লিষ্ট সকলকে যতœবান হয়ে পেশাদারী মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। তালিকা করে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে, নতুন করে যাতে কোন ঋণ খেলাপি তৈরী না হয়, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাতে কোন ধরনের দুর্নীতি না, হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কর্পোরেট সুশাসনসহ স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞতা নেই বা যারা এ খাতের ক্ষতি করতে পারে, একম কাউকে ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া উচিৎ হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সুদের হার কমিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম বৃদ্ধি করে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাটা এখন ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা ও দায়িত্ব অনেক।
জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অথিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।