স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গাজীপুর: যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত কয়েদী কামারুজ্জামান কে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১১টার পর যে কোন মুহুতে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১২টায় দুটি দায়িত্বশীল সরকারী গোয়েন্দা সূত্র সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার কাশিমপুর পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলেননি । জেলার মুজিবুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কামারুজ্জামান বর্তমানে ওই কারাগারের “চল্লিশ সেল” নামক ফাঁসির সেলে বন্দি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাশিমপুর কারাগার ফটকের সামনে সকাল থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এরপূবে সোমবার রাতে কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আপিল মামলার রায় কামারুজ্জামানকে শুনানোর পর তিনি আঁতকে উঠেন। কিছুক্ষন চুপ থেকে বিমূর্ষ হয়ে যান। তবে রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা চাইবেন কি না জনৈক কারারক্ষীর এমন প্রশ্নের জবাবে কামারুজ্জামান বলেছেন, রায়ের কপি আসলে পরে দেখা যাবে।
জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে তার মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল হয়। ২০১৩ সালের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২ তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর কামারুজ্জামানের আপিল মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়ের তারিখ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ২নভেম্বর রায়ের তারিখ ঘোষনা করা হয়। সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষনা করা হল। তিনি অনেক দিন ধরেই ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার কাশিমপুর পার্ট-২ এ বন্দি ছিলেন।