সিরাজগঞ্জ; সাংবাদিক শিমুল হত্যাকাণ্ডের পরই সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। বাদ যায়নি সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে প্রশাসনও। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও নিজ দলের এমপির পক্ষ থেকেই বলা হয় মেয়র মিরু পরিকল্পিতভাবে গুলি করে সাংবাদিককে হত্যা করেছে। কিন্তু যতই দিন গড়াচ্ছে ক্রমশ ঘটনার ঢালপালা গজাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সেই দিন কি ঘটেছিল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ঘটনার পরই শাহজাদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদের ভগ্নিপতি পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দিলরুবা বাস টার্মিনাল থেকে উপজেলা সদরে রাস্তাটির টেন্ডার পেয়েছে মেয়রের ২ ভাইয়ের সমর্থিতরা। শত্রুতার করে তারা বিজয়ের বাড়ির সামনে বাদ রেখে রাস্তার দু’পাশের কাজ শেষ করেছে। অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য স্থানীয়দের নিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার দিন দুপুরে পিন্টু তার শ্যালক বিজয়কে ধরে মেয়রের বাড়িতে নিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। এ কারণে তার নিজ গ্রাম কান্দাপাড়ার বিক্ষুব্ধ লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এরই একটি অংশ গিয়ে মেয়রের বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে মেয়র মিরু’র গুলিতে সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিক শিমুল আহত হন। ওই দিন শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক বলেছিলেন, বিজয় আহত হওয়ার পরই পুলিশ মেয়রের বাড়ি থেকে মেয়রের ভাই পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারপরও বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাড়িতে হামলা চালালে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মেয়র গুলি করলে সাংবাদিক আহত হন। প্রথমে শাহজাদপুর সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত মাইকে ঘোষণা দেন মেয়র মিরুকে না করার পর সে গুলি করেছে এবং তার গুলিতেই শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। আর কেউ সেখানে গুলি করেনি। অবশ্যই মেয়রকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে, সাংবাদিকের খালাতো ভাই হারুন অর রশিদ বুধবার বলেন, সাংবাদিক শিমুলের ব্যবহৃত ডায়েরি ও আইডি কার্ড পাওয়া গেলেও তার কাছে থাকা কাছে নগদ আট হাজার নগদ টাকা, মোবাইল ও ক্যামেরা এখনও পাওয়া যায়নি। মেয়র গ্রেপ্তার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ওই বক্তব্যে সাথে আমি একমত নয়। ব্যালেস্টিক পরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে সাংবাদিক কার গুলিতে মারা গেছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত মনিরুল ইসলাম বুধবার জানান, ঘটনার দিন মেয়র মিরু ও তার ভাই মিন্টু’র শটগান থেকে গুলি করা হয়েছে। আমরা এখনও নিশ্চিত নয়, সাংবাদিক শিমুল কার গুলিতে মারা গেছে। একই দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান জানান, সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আমরা দেখেছি ওই সময় মেয়রের বাম হাতে শটগান, ডান হাতে পিস্তল ছিল। এছাড়া মেয়রের ভাই মিন্টুর হাতে শটগান ছাড়াও অস্ত্র ছিল আর আরও বেশ কয়েকজনের কাছে। সেগুলো উদ্ধার করে পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কার গুলিতে সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আর বিজয় মাহমুদের ভগ্নিপতি পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম বুধবার বলেন, চলমান পৌর ট্যাক্সের আন্দোলন বন্ধ, আগামী টেন্ডারগুলোতে একক আধিপত্য আর মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করতেই মেয়র গং তার শ্যালককে মারপিট করেছে।
একটি হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরস্পর বিরোধী এমন বক্তব্যের কারণে ইতোমধ্যে মিডিয়াগুলোতেই নানা সংবাদ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি মেয়র গ্রেপ্তার হলেও নিজ দলের পক্ষ থেকে এবং শাহজাদপুর উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষে ঘটনার জন্য মেয়র ও তার ভাইদের শাস্তির দাবীতে শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে রাতারাতি রংবে রঙবেঙর পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। যা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
এদিকে, মামলার আসামীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে নেতা হওয়ায় নিহতের স্ত্রী নুরুন্নাহার আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশে তো কত সাংবাদিকই হত্যা হয়েছে। কারও তো বিচার হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তিনি তো অনেক দিন পর বাবা হত্যার বিচার করেছেন। আমার স্বামী হত্যার বিচার যেন পাই, আমি আশা করছি, তিনি যেন আমার স্বামী হত্যার বিচারে সহায়তা করেন।
এদিকে, সাংবাদিকের খালাতো ভাই হারুন অর রশিদ বুধবার বলেন, সাংবাদিক শিমুলের ব্যবহৃত ডায়েরি ও আইডি কার্ড পাওয়া গেলেও তার কাছে থাকা কাছে নগদ আট হাজার নগদ টাকা, মোবাইল ও ক্যামেরা এখনও পাওয়া যায়নি। মেয়র গ্রেপ্তার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ওই বক্তব্যে সাথে আমি একমত নয়। ব্যালেস্টিক পরীক্ষার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে সাংবাদিক কার গুলিতে মারা গেছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত মনিরুল ইসলাম বুধবার জানান, ঘটনার দিন মেয়র মিরু ও তার ভাই মিন্টু’র শটগান থেকে গুলি করা হয়েছে। আমরা এখনও নিশ্চিত নয়, সাংবাদিক শিমুল কার গুলিতে মারা গেছে। একই দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান জানান, সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আমরা দেখেছি ওই সময় মেয়রের বাম হাতে শটগান, ডান হাতে পিস্তল ছিল। এছাড়া মেয়রের ভাই মিন্টুর হাতে শটগান ছাড়াও অস্ত্র ছিল আর আরও বেশ কয়েকজনের কাছে। সেগুলো উদ্ধার করে পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কার গুলিতে সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আর বিজয় মাহমুদের ভগ্নিপতি পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম বুধবার বলেন, চলমান পৌর ট্যাক্সের আন্দোলন বন্ধ, আগামী টেন্ডারগুলোতে একক আধিপত্য আর মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করতেই মেয়র গং তার শ্যালককে মারপিট করেছে।
একটি হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরস্পর বিরোধী এমন বক্তব্যের কারণে ইতোমধ্যে মিডিয়াগুলোতেই নানা সংবাদ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি মেয়র গ্রেপ্তার হলেও নিজ দলের পক্ষ থেকে এবং শাহজাদপুর উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষে ঘটনার জন্য মেয়র ও তার ভাইদের শাস্তির দাবীতে শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে রাতারাতি রংবে রঙবেঙর পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। যা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
এদিকে, মামলার আসামীরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে নেতা হওয়ায় নিহতের স্ত্রী নুরুন্নাহার আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশে তো কত সাংবাদিকই হত্যা হয়েছে। কারও তো বিচার হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তিনি তো অনেক দিন পর বাবা হত্যার বিচার করেছেন। আমার স্বামী হত্যার বিচার যেন পাই, আমি আশা করছি, তিনি যেন আমার স্বামী হত্যার বিচারে সহায়তা করেন।