গ্রাম বাংলা ডেস্ক: আবদুর রহমান বদি। ফাইল ছবি।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ১৮ দিন কারাভোগ শেষে গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি। তিনি কাল মঙ্গলবার নিজগ্রাম টেকনাফ যাচ্ছেন। তাঁকে বরণ করতে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ২০০ তোরণ।
আওয়ামী লীগের এক নেতার অভিযোগ, কক্সবাজার এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে উখিয়া ও টেকনাফে এত তোরণ নির্মাণ করা হয়নি।
আর কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সাংসদকে টেকনাফ নিয়ে যেতে ভাড়া করা হয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। ‘সাংসদ বদি মুক্তি আন্দোলনের’ ব্যানারে এসব আয়োজন করা হলেও আওয়ামী লীগের নেতারা এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকার যুবলীগের এক নেতা বলেন, প্রতিটি তোরণ নির্মাণের জন্য পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ব্যানার সরবরাহ করা হয়েছে কক্সবাজার থেকে। তবে এর বিপরীতে টাকার জোগান কে দিচ্ছেন তা কারও জানা নেই।
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কেও বদিকে শুভেচ্ছা-স্বাগত জানিয়ে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা উখিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দলীয় জনসভায়
ভাষণ দেন। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে তখন উখিয়া ও টেকনাফে এত তোরণ নির্মাণ করা হয়নি।’
সাংসদ বদি মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক ও টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুর বলেন, ‘সাংসদ বদিকে দুদকের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এখন তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তাই সাংসদ বদির ভক্তরা সংবর্ধনা দিতে টেকনাফের বিভিন্ন সড়কে ১০১টি তোরণ নির্মাণ করেছেন। উখিয়াতেও দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের টাকায় প্রচুর তোরণ নির্মাণ করেছেন।’ এর বিপরীতে কত টাকা খরচ হচ্ছে এবং এই টাকার উৎস সম্পর্কে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।