সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক ষোড়শী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার পৌর এলাকার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হবিব আলীর মেয়ে পপি বেগম (১৬)।
মঙ্গলবার আড়াইটায় নির্মম এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আত্মহননকারী পপি বেগমের (১৬) খালাতো ভাই বিয়ানী বাজার উপজেলাধীন সুতারকান্দি সাজনাপুর গ্রামের মৃত সফিক আলীর ছেলে লিটনের সাথে দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু খালা এবং লিটনের বড় ভাই এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে পপির বেশ কয়েকদিন ধরে মন খারাপ ছিল মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের অজান্তে নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্ম হননের পথ বেছে নেয়।
পপির মা ফেরদোসী বেগম হাই প্রেশারের রোগী। ঘটনার সময় তিনি অন্য একটি রোমে ঘুমিয় ছিলেন বলেন জানা যায়। ঘুম থেকে জেগে মেয়েকে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার দিয়ে মেয়েকে জীবিত ভেবে দা দিয়ে ওড়না কেটে মাটিতে নামিয়ে মেয়ের মুখে পানি দেন। কিন্তু ততক্ষনে পপি না ফেরার দেশে চলে যায়।
তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে শান্তনা দেন। নিহত পপির মা বলেন, তার আপন বোনের ছেলে লিটনের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্ত আমার বোন ও বোনের বড় ছেলেকে অনেক অনুনয় বিনয় করে বলার পরও তারা এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তবে লিটন সব সময় আমার মেয়ে পপিকে ঘরে তুলতে রাজি ছিল। কিন্ত তার মা ও বড় ভাইয়ের বাধাঁর কারণে সে পপিকে ঘরে তুলতে পারছিলনা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য একেএম ফজলুল হক শিবলীলর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছিছে।