ডেস্ক; ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে ২২ বছরের সংসারে বিচ্ছেদ ঘটেছে। স্বামী বিল ম্যাকর্মিককে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তার স্ত্রী গেইলি ম্যাকর্মিক।
বিলম্বে প্রাপ্ত এ খবরটি প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, গেইলির স্বামী বিল ম্যাকর্মিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডনাল্ড ট্রাম্পকে। এ নিয়ে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তা শুনে ফেলেন স্ত্রী গেইলি। এতে তিনি এতটাই অবাক হয়েছিলেন যে, ২২ বছর ধরে গড়ে তোলা সংসার ছেড়ে চলে যান। গেইলি ম্যাকর্মিক একজন ডেমোক্রেট সমর্থনকারী। তিনি ধীরে ধীরে সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। রক্ষণশীল স্বামীকে ছেড়ে যাবার ইচ্ছা তার কোনদিনই ছিলো না। কিন্তু তার স্বামী ট্রা¤পকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হন। ৭৩ বছর বয়সী গেইলি বলেন, আমি যখন শুনলাম ম্যাকর্মিক ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার কথা চিন্তা করছে পুরো চমকে উঠেছিলাম। তিনি বলেন, তার স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে তিনি নিজেকে প্রতারিত মনে করেন। গেইলি বলেন, আমার মনে হচ্ছিলো আমি এতদিন ধরে নিজেকে বোকা বানাচ্ছিলাম। এই ঘটনাটা আমার ও তার (বিল) মধ্যে এমন সব দিক উন্মোচিত করেছে, যা আমি আগে কখনোই দেখি নি। গেইলি বলতে থাকেন, আমি বুঝতে পারলাম, আমি এমন অনেক জিনিস মেনে নিয়েছি যেগুলো আমি আগে কখনোই মেনে নিতাম না। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, সবাই ভাবছে আমাদের নতুন প্রেসিডেন্ট একজন হিরো। কিন্তু আমি মনে করি তিনি একজন ফুলবাবু। গেইলি ম্যাকর্মিক তার দীর্ঘ ২২ বছরের সংসার জীবন ও স্বামীকে ছেড়ে চলে গেছেন এবং নতুনভাবে সবকিছু শুরু করার চিন্তা করছেন। তবে তিনি একা নন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। গত বছরের ২৭শে ডিসেম্বর থেকে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসসের এক জরিপে উঠে এসেছে এমনই অবাক করা তথ্য। জরিপে দেখা গিয়েছে, ৩৯ শতাংশ মানুষ তাদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া করেছে। ১৬ শতাংশ মানুষ তাদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। ১৩ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক মতবাদের ভিন্নতা থাকায় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।